পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম [ প্রথম ט\ ঠাকুর সাদরবাক্যে কহিলেন—“ভাই, তুমি যথাযোগ্য গুরু পাইয়াছ । প্রেমদাসের নিকট প্রেমবিবৰ্ত্ত শিক্ষা কর।” “কিবা বিপ্ৰ কিবা ন্যাসী শূদ্র কেন নয়।” যেই কৃষ্ণ-তত্ত্ববেত্তা সেই গুরু হয় ॥ চৈ: চঃ মধ্য ৮ম ১২৭ সন্ন্যাসী ঠাকুরও বিনীতভাবে পরমগুরুর পাদপদ্মে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করত: কহিলেন, ‘প্রভো । আপনি চৈতন্যপার্ষদ, আপনার কৃপা কটাক্ষে আমার দ্যায় শত শত অভিমানী সন্ন্যাসী পবিত্র হঠতে পারে । কৃপ। করুন।” সন্ন্যাসী ঠাকুর ভক্তগোষ্ঠীর পরস্পর ব্যবহার পূৰ্ব্বে শিক্ষা করেন নাই । গুরু ও পরমগুরুতে যে প্রকার ব্যবহার দেখিলেন, তাহাই সদাচাব জানিয়া নিজ গুরুর প্রতি অকৈতবে সেই দিন তইতে তদ্রুপ ব্যবহার করিতে লাগিলেন। সন্ধ্যা-আরাত্রিক দর্শন করতঃ উভয়ে ঐগোদ্রমে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । কিছুদিন এই প্রকারে থাকিয়া সন্ন্যাসীঠাকুর পরমহংস বাবাজীকে তত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিতে বাসন করিলেন। এখন বেশ ব্যতীত আর সমস্তই তাহার বৈষ্ণবের ন্তায় হইয়াছে । শমদমাদিগুণসম্পন্ন হইয়া সম্পূর্ণরূপে ব্রহ্মনিষ্ঠা পূৰ্ব্বেই লাভ করিয়াছিলেন। এখন সেই নিষ্ঠার উপর আবার পরব্রহ্মের চিল্লীলানিষ্ঠা জন্মিল । সঙ্গে সঙ্গে দীনভাব প্রবল হইয়। উঠিল । একদিন অরুণোদয়সময়ে পরমহংস বাবাজী পরিষ্কৃত হইয়া তুলসী মালায় নাম সংখ্যা করিতে করিতে মাধবীমণ্ডপে বসিলেন। কুঞ্জভঙ্গলীলাস্থতিজনিত প্রেমবারি তাহার চক্ষুদ্বয় হইতে অনবরত পড়িতে লাগিল । স্বীয় সিদ্ধভাবে পরিভাৰিত তৎকালোচিত সেবায় নিযুক্ত হইয়া আপনার স্থল দেহস্থতি হারাইতে লাগিলেন । সন্ন্যাসীঠাকুর তাহার ভাবে মুগ্ধ হষ্টয়া র্তাহার নিকট উপবেশন করতঃ র্তাহার সাৰিকভাবসকল অবলোকন করিতে লাগিলেন। দেখিতে দেখিতে পরমহংস বাবাজী কহিলেন “সখি !