পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ অধ্যায় জীবের নিত্য ও নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম ని পরমহংস কহিলেন, “বস্ ধাতুতে সংজ্ঞাথে তু’ প্রত্যয় করিয়া বস্তু শব্দ হয় । অতএব যাহার অস্তিত্ব আছে বা প্রতীতি অাছে, তাহাই বস্তু। বস্তু দুই প্রকার অর্থাৎ বাস্তব বস্তু এবং অবাস্তব বস্তু । বাস্তব বস্তু পরমার্থ-ভূত তত্ব। অবাস্তব বস্তু—দ্রব্যগুণাদি রূপ। বাস্তব বস্তুর অস্তিত্ব আছে । অবাস্তব বস্তুর অস্তিত্ব কেবল প্রতীত হয়। প্রতীতি কেশনস্থলে সত্য, কোনস্থলে ভাণ মাত্র। শ্ৰীমদ্ভাগবতের প্রথম স্কন্ধের দ্বিতীয় শ্লোকে “বেছং বাস্তবমত্র বস্তু শিবদং” এই কথায় বাস্তব বস্তু একমাত্র পরমার্থ— ইঙ্গ নির্ণীত হইয়াছে । ভগবান একমাত্র বাস্তব বস্তু। সেই বস্তুর পৃথক অংশ জীব ও সেই বস্তুর শক্তি মায়া । অতএব বস্তু’ শব্দে–ভগবান, জীব ও মায়া এই তিন তত্ত্বকে বুঝিতে হয়। এই তিনের পরস্পর সম্বন্ধঞ্জানকে শুদ্ধ জ্ঞান বলা যায়। এই তিন তত্ত্বের বহুবিধ প্রতীতি আছে। সে সমস্ত অবাস্তব বস্তুমধ্যে পরিগণিত। বৈশেষিকদিগের দ্রব্য ও গুণসংখ্যা কেবল অবাস্তব বস্তুর আলোচনা মাত্র। বাস্তব বস্তুর যে বিশেষ গুণ তাহাই তাঙ্গার স্বভাব। জীব একটী বাস্তব বস্তু । জীবের যাহা নিত্য বিশেষ গুণ তাতাই তাহার স্বভাব । সন্ন্যাসী ঠাকুর কহিলেন ‘প্ৰভো! এই বিষয়ট আমি ভাল করিয় জানিতে চাই।’ বাবাজী মহাশয় কঠিলেন, “ঐনিত্যানন্দ প্রভুর কৃষ্ণদাস কবিরাজ নামক একটী কৃপাপাত্র আমাকে একখানি হস্তলিপি গ্রন্থ দেখাইয়াছেন, সেই গ্রন্থের নাম “শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত”। তাহাতে শ্ৰীমহাপ্রভুর এ বিষয়ে একটা উপদেশ আছে যথা :– “জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্যুদাস। . কৃষ্ণের তটস্থ শক্তি ভেদাভেদ প্রকাশ ॥