পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ জৈবধৰ্ম্ম উনবিংশ ভক্তির অনুশীলনমাত্রেই তাঙ্কার সৰ্ব্বসিদ্ধি হয়। অতএব, “ন মে ভক্ত: প্রণগুতি” (গীঃ ১/৩১) (১) এই ভগবৎপ্রতিজ্ঞ সৰ্ব্বোপরি বলিয়া জানিবে। এই পৰ্য্যন্ত শ্রবণ করিয়া ব্ৰজনাথ ও বিজয়কুমার, উভয়েই একবাক্যে কহিলেন,—আমাদের হৃদয়ে ভক্তিসম্বন্ধে আর সন্দেহ নাই ; জানিলাম, জ্ঞান ও কৰ্ম্ম অতি তুচ্ছবস্তু, ভক্তিদেবীর কৃপা ব্যতীত জীবের কোন প্রকার মঙ্গল সাধন হয় না ; প্রভো, কৃপা করিয়া শুদ্ধভক্তির অঙ্গসকল বর্ণন করুন—আমরা কৃতার্থ হই । বাবাজী। ব্ৰজনাথ, তুমি শ্ৰীদশমূলের অষ্টমশ্লোক পৰ্য্যস্ত শ্রবণ করিয়াছ ; সেই সকল তোমার পূজনীয় মাতুল-মহাশয়কে সময়াস্তরে বলিবে ; উ হাকে দেখিয়া আমার চিত্ত প্রফুল্ল হইয়াছে। এখন নবম শ্লোক শ্রবণ কর,— শ্রুতিঃ কৃষ্ণাখ্যানং স্মরণ-নতি-পূজাবিধিগণা: তথা দাস্তং সখ্যং পরিচরণমপ্যাত্মদদনম্। নবাঙ্গান্ত্যেতানীহ বিধিগতভক্তেরমুদিনং ভজন শ্রদ্ধাযুক্তঃ সুবিমলরতিং বৈ স লভতে ॥ ৯ ॥ (২) শ্রবণ, কীৰ্ত্তন, স্মরণ, বন্দন, অর্চন, দাস্তা, সখ্য ও আত্মনিবেদন—এই নববিধা বৈধীভক্তি যিনি শ্রদ্ধাসহকারে অনুদিন অনুশীলন করেন, তিনি বিমল কৃষ্ণরতি প্রাপ্ত হন । শ্ৰীকৃষ্ণের নাম, রূপ গুণ ও লীলাসম্বন্ধীয় অপ্রাকৃত বর্ণনাদির শ্রোত্র ম্পর্শের নাম ‘শ্রবণ” । শ্রবণের দুই অবস্থা—শ্রদ্ধার উদয়ের পূৰ্ব্বে সাধুগণের মুখে যে কৃষ্ণগুণানুবাদ শ্রবণ করা যায়, তাহা এক প্রকার শ্রবণ, সেই শ্রবণ হইতেই শ্রদ্ধার উদয় হয় ; শ্রদ্ধা উদিত হইলে গাঢ় পিপাসার সহিত (১) আমার ভক্তের বিনাশ নাই । (২) ভাঃ ৭৫৷২৩-২৪ গ্লোকের ক্রম সন্দর্ভ এবং গৌড়ীয় ভাষ্য দ্রষ্টব্য।