পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>: জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বিতীয় এই জন্তই ‘অনাদি বহির্মুখ" শব্দ ব্যবঙ্গত হইয়াছে। বহিৰ্ম্ম খত ও মায়াপ্রবেশ-কাল হইতেই জীবের নিত্যধৰ্ম্ম বিকৃত হইয়াছে। অতএব মায়াসঙ্গবশতঃ জীবের নিসর্গ উদয় হইলে নৈমিত্তিক ধৰ্ম্মের অবসর হইল । নিত্যধৰ্ম্ম এক, অখণ্ড ও নির্দোষ । নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম নানা আকারে, নানা অবস্থায়, নানা লোককর্তৃক নানারূপে বিবৃত হয়।” পরমহংস বাবাজী মহাশয় এই পৰ্য্যস্ত বলিয়। নিস্তব্ধ হইয়। হরিনাম করিতে আরম্ভ করিলেন। সন্ন্যাসী ঠাকুর ঐ সমস্ত তত্ত্বকথা শ্রবণ করতঃ দওবৎপ্ৰণতিপূৰ্ব্বক কহিলেন,প্ৰভো! আমি অছ এই সকল কথা আলোচনা করি; যে কিছু প্রশ্ন উদিত হয় কল্য তাচ আপনার চবণে জ্ঞাপন করিব”। দ্বিতীয় অধ্যায় জীবের নিত্য-প্ৰস্বৰ্য শুদ্ধ ও অনলাতল । সন্ন্যাসীর প্রশ্ন–জীব অণুবস্তু হইলেও তথাপি তাহার ধৰ্ম্ম পূর্ণ—শুদ্ধ ও বদ্ধ অবস্থকৃষ্ণদাস্ত-বিস্মৃতি জীবের সংসার—লিঙ্গ ও স্কুল দেহাভিমান – জীবের স্বধৰ্ম্ম-বিকৃতি— অনিত্য ধৰ্ম্ম—বৈষ্ণব ধৰ্ম্মই নিত্যধৰ্ম্ম—মহাভাব ও অদ্বৈত সিদ্ধি—শঙ্করাচার্য্যের গৌরব— শঙ্করাবতারের প্রয়োজনতা—তিনি বৈষ্ণব ছিলেন—মুক্তি পৰ্য্যস্ত র্তiহার মত বৈষ্ণব—তদুক্তরে তিনি নিস্তব্ধ—অদ্বৈত-সিদ্ধি ও প্রেমের কোন বিষয়ে ঐক্য ও কোন বিষয়ে পার্থক্য— মহাভাব কি ?—বাহবেশ—মৰ্কটবৈরাগ্যনিষেধ—ধৰ্ম্ম এক বই দুই নয়—তাহাই জৈব বা বৈষ্ণবধর্ক্স–জৈবধৰ্ম্মকে কেন বৈষ্ণবধর্ম বলি-বিশুদ্ধ প্রেম ও এস্ক—মহাপ্রভুই বিশুদ্ধ প্রেম শিক্ষা দিয়াছেন—চিৎকাল ও মায়িক কালের ভেদ-হরিনাম শ্রেষ্ঠ সাধন— নিরপরাধে নাম করিলে প্রেম পাওয়া যায়—নামগ্রহণক্ৰমে কনিষ্ঠ, মধ্যম ও উত্তম বৈষ্ণব= বিচার—সন্ন্যাসীর নাম গ্রহণ । পরদিন প্রাতে প্রেমদাস বাবাজী মহাশয় স্বীয় ব্রজভাবে নিমগ্ন থাকায়, সন্ন্যাসী ঠাকুর তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে অবসর