পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বাবিংশ برامواليك» এই দশমূল সেবন করতঃ জীব অবিদ্যারূপ আময় ধ্বংসপূৰ্ব্বক সাধুসঙ্গদ্বারা ভালপুষ্টি ও তুষ্টি লাভ করেন । বিজয়। প্রভো, এই অপূৰ্ব্ব দশমূল আমাদের সকলের কণ্ঠহার হউক্‌ ; প্রতিদিন আমরা এই দশমূল পাঠ করিয়া শ্ৰীমন্মহা প্রভুকে দওবৎ প্রণাম করিব । এখন কৃপা করিয়া ভাবতত্ত্বটী বিশদরূপে বলুন । বাবাজী। প্রেমরূপ স্বর্য্যের অংশতুল্য শুদ্ধসত্ত্ববিশেষ স্বরূপতত্ত্বষ্ট ভাব । শুদ্ধসত্ত্বলিশেষস্বরূপই ভাবের স্বরূপলক্ষণ । ভাবের অপর নাম ‘রতি’, তাহাকে কেহ কেহ ‘প্রেমাঙ্কুর’ বলেন । সৰ্ব্বপ্রকাশিক স্বরূপশক্তির সম্বিদাথ্য-বৃত্তিকে শুদ্ধসত্ত্ব বলা যায়—তাত মায়াবৃত্তি নয় । সেই সন্ধিদাখ্যা-বৃত্তির সঙ্গিত হলাদিনীবৃত্তি সমবেত হইলে তাহার সারাংশষ্ট ভাল । সম্বিদরুত্তিদ্বারা বস্তু জ্ঞান হয়, হলদিনীবৃত্তিদ্বারা বস্তু অস্বাদিত হয় ; কৃষ্ণকপ পরমবস্তুর স্বরূপ শক্তিব সৰ্ব্বপ্রকাশিকা-রুত্তি হষ্টতে জান। যায, জীবশক্তির ক্ষুদ্র সম্বিদ্বত্তি হইতে জানা যায় না। ভগবানেব কৃপা বা ভক্তকৃপাদ্ধারা যখন জীবহৃদযে স্বরূপশক্তির আবির্ভাব হয়, তখনই স্বরূপশক্তির সম্বিস্কৃত্তি জীবহৃদয়ে কাৰ্য্য করেন, তাহা হইলেই চিজগতের জ্ঞান প্রকাশিত হয়। চিজ্জগতের স্বরূপই শুদ্ধসত্ত্ব, মায়িক জগতের স্বরূপ সত্বরজস্তমোগুণমিশ্ৰস্থলতত্ত্ব। সেই চিজগৎ-জ্ঞানে হলাদিনীর সার সমবেত হইলে চিজগতের আস্বাদ উদিত হয়। সেই আস্বাদ পূর্ণরূপে হইলে তাহাকে ‘প্রেম বলি ; সেই প্রেমকে স্বৰ্য্য বলিলে তাহার কিরণকে ‘ভাব বলা যায়—ভাবের স্বরূপ-পরিচয় এই । ভাবের বৈশিষ্ট এই যে, জীব-চিত্তকে শুচিদ্বারা মন্থণ করিয়া থাকে। ‘রুচি’-শব্দে প্রাপ্ত্যভিলাষ, আমুকুল্যাভিলাষ ও সৌহার্দাভিলাষ। ভাবকে প্রেমের প্রথমচ্ছবি বলা যায়। ‘মস্থণ’-শব্দে চিত্তের আর্দ্রতা বুঝিতে হইবে। তন্ত্রে বলিয়াছেন, প্রেমের প্রথমাবস্থাকে “ভাব’ বলে ; ভাবের