পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>W。 জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বিতীয় পরমহংস বাবাজী মহাশয় শ্ৰীশঙ্করাচার্য্যের নাম শুনিয়া দণ্ডবৎপ্রণামপূৰ্ব্বক কহিলেন,-“মহোদয়, শঙ্কর; ‘শঙ্কর সাক্ষাৎ, একথা সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিবেন। শঙ্কর বৈষ্ণবদিগের গুরু, এই জন্য মহাপ্ৰভু তাহাকে আচাৰ্য্য বলিয়া উল্লেখ করেন। শঙ্কর স্বয়ং পূর্ণ বৈষ্ণব। যে সময়ে তিনি ভারতে উদিত হইয়াছিলেন, সে সময় তাহার ন্যায় একটা গুণাবতারের নিতান্ত প্রয়োজন ছিল । ভারতে বেদশাস্ত্রেব আলোচনা ও বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের ক্রিয়াকলাপ বৌদ্ধদিগের শূন্তবাদে শৃষ্ঠপ্রায় হইয়াছিল। শূন্তবাদ নিতান্ত নিরীশ্বর । তাহাতে জীবাত্মার তত্ত্ব কিয়ৎপরিমাণে স্বীকৃত থাকিলেও ঐ ধৰ্ম্ম নিতান্ত অনিত্য । সে সময় ব্রাহ্মণগণ প্রায়ই বৌদ্ধ হইয়। বৈদিক ধৰ্ম্ম প্রায় পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । অসাধারণ শক্তিসম্পন্ন শঙ্করাব তার উদিত হইয়া বেদশাস্ত্রের সম্মান স্থাপনপূৰ্ব্বক শূন্তবাদকে ব্রহ্মবাদে পরিণত করেন। এই কাৰ্য্যটী অসাধারণ । ভারতবর্ষ শ্ৰীশঙ্করের নিকট এই বৃহৎ কার্য্যের নিমিত্ত চিরঞ্চণী থাকিলেন । কার্য্যসকল জগতে দুই প্রকারে বিচারিত হয় । কতকগুলি কাৰ্য্য তাৎকালিক ও কতকগুলি কাৰ্য্য সাৰ্ব্বকালিক। শঙ্করাবতারের সেই বৃহৎ-কাৰ্য্য তাৎকালিক। তদ্বারা অনেক সুফল উদয় হইয়াছে। শঙ্করাবতার যে ভিত্তি পত্তন করিলেন, সেই ভিত্তির উপর পরে শ্রীরামানুজাবতার ও শ্ৰীমধবাদি আচাৰ্য্যগণ বিশুদ্ধ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়ুছেম । অতএব শঙ্করাবতার বৈষ্ণবধৰ্ম্মের পরম বন্ধু ও একজন প্রাগুদিত আচার্য্য। t শ্ৰীশঙ্কর যে বিচারপথ প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহার সম্পত্তি বৈষ্ণবগণ এখন অনায়াসে ভোগ করিতেছেন। জড় বদ্ধ জীলের পক্ষে সম্বন্ধস্তানের নিতান্ত প্রয়োজন। এই জড় জগতে স্থল ও লিঙ্গদেহ হইতে চিৰন্ত পৃথক ও অতিরিক্ত তাহা বৈষ্ণবগণ ও শঙ্করাচার্য উভয়েই বিশ্বাস করেন। জীবের সত্তাবিচারে তাহাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। জড় জগতের