পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*3ર૭ জৈবধৰ্ম্ম [ পঞ্চবিংশ অপরাধী, অতএব তাহাদিগকে “বৈষ্ণবাপরাধী" বলা যায়। প্রতিবিম্বনামাভাস ও প্রতিবিম্ব-ভাবাভাস আশ্রয় করিয়াছেন বলিয়া তাহাদিগকে বৈষ্ণবাভাস বলা যাইতে পারিত, কিন্তু অত্যন্ত অপরাধবশতঃ তাহার। বৈষ্ণবনামের যোগ্য না হওয়ায় তাহারা স্বয়ং পৃথক্ হইয় পড়েন । বিজয়। প্রভো, শুদ্ধনামের লক্ষণ আর একটু স্পষ্ট করিয়া বলিলে আমরা ভালরূপে বুঝিতে পারি। বাবাজী । অন্যাভিলাষিতাশূন্ত ও জ্ঞানকৰ্ম্মাদিদ্বারা অনাবৃত, আমুকুল - ভাবের সহিত নাম করিলে শুদ্ধনাম হয়। নামের চিন্ময়ভাব স্পষ্ট উদয় করিয়া পরমানন্দামুভবের যে অভিলাষ, তাহ অন্যাভিলাষ নয়। তদ্ব্যতীত নামম্বারা পাপক্ষয় বা মোক্ষ-লাভের অভিলাষাদি যত প্রকার বাসনা আছে, তাহ সমস্তই ‘অন্যাভিলাষী ; অন্যাভিলাষ থাকিলে নাম শুদ্ধ হন না । জ্ঞানকৰ্ম্মযোগাদির চেষ্টায় তত্তং বিষয়ের অবাস্থর ফলকামনারহিত না হইলেও শুদ্ধনাম হয় না। প্রাতিকুল্যভাবকে হৃদয় হইতে দূর করিয়া কেবল নামের অমুকুল প্রবৃত্তির সহিত যে নামালোচনা, তাহাই শুদ্ধনায় । এই লক্ষণ আলোচনাপূর্বক দেখ যে, নামাপরাধ ও নামাভাস-শূন্ত নামই শুদ্ধনাম। অতএব ঐকলিযুগপাবনাবতার গৌরচন্দ্র বলিয়াছেন যে— “তৃণাদপি মুনীচেন তরোরপি সহিষ্ণুন। অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তণীয়ঃ সদা হরিঃ ॥’ (১) বিজয়। প্রভো, নামাভাস ও নামাপরাধের স্বরূপ-ভেদ কি ? বাবাজী। শুদ্ধনাম না হইলেই নামাভাস হইল ; সেই নামাভাস ‘কোন অবস্থায় ‘নামাভাস’ বলিয়া উক্ত হয় এবং কোন অবস্থায় ‘নামাপরাধ বলিয়া উক্ত হয়। যেস্থলে অজ্ঞতাবশতঃ অর্থাৎ ভ্রমপ্রমাদবশতঃ নামের (১) ২৪ পৃষ্ঠা ভ্রষ্টব্য।