পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন 8있어 অশুদ্ধ লক্ষণ হয়, সে স্থলে কেবল “নামাভাস’ ; যে স্থলে মায়াবাদাদিজনিত ধুৰ্বত, মুমুক্ষ ও ভোগবাঞ্ছা হইতে অশুদ্ধ নামের উদয়, সে স্থলে নামাপরাধ হয়। যে দশট নামাপরাধ তোমাদিগকে বলিয়াছি, তাহা যদি সরল অজ্ঞতা হইতে হইয়া থাকে, তবে সে সমস্তই ‘নামাভাস’ মাত্র। জ্ঞাতব্য এই যে, নামাভাস যতদিন অপরাধলক্ষণ না পায়, ততদিন নামাভাস বিদূরিত হইয়া শুদ্ধনামোদয়ের আশা থাকে, অপরাধ-লক্ষণ হইলে আর সহজে নামোদয় হয় না। নামাপরাধক্ষয়েব যে পদ্ধতি বলা হইয়াছে, তদ্ব্যতীত আর অন্ত উপায়ে মঙ্গল উদিত হয় না। বিজয় । নামাভাসী ব্যক্তি কি উপায় অবলম্বন করিলে, নামাভাস (শুদ্ধ) নাম হইয়া উদিত হন ? বাবাজী। শুদ্ধভক্তের সঙ্গে নামালোচনা করিতে করিতে অতি শীঘ্র শুদ্ধভক্তিতে রুচি হয়, তখন যে নাম জিহবায় আবিভূত হন, সে নাম ‘শুদ্ধনাম হন, সঙ্গে সঙ্গে নামাপরাধীর, সঙ্গ পরিত্যাগ করিতে যত্ন করা আবশ্বক, কেননা সেরূপ সঙ্গ থাকিলে শুদ্ধনামের উদয় হয় না। সৎসঙ্গই জীবের মঙ্গলের একমাত্ৰ হেতু, এই জন্যই প্ৰাণেশ্বর গৌরচন্দ্র সনাতনগোস্বামীকে এইরূপ উপদেশ দিয়াছিলেন যে, সৎসঙ্গই ভক্তিমূল,যোষিৎসঙ্গ ও অভক্তসঙ্গ ত্যাগ করতঃ সৎসঙ্গে কৃষ্ণনাম কর । বিজয়। প্রভো, তবে কি গৃহিণীসঙ্গ ত্যাগ না করিলে জীবের শুদ্ধনামের উদয় হইবে না ? বাবাজী। স্ত্রীসঙ্গ পরিত্যাগ করা কর্তব্য ; গৃহস্থ বৈষ্ণবগণ বিবাহিত স্ত্রীর সহিত অনাসক্তভাবে বৈষ্ণবসংসার সমৃদ্ধি করেন, তাহাকে ‘স্ত্রীসঙ্গ’ বলে না। স্ত্রীলোকে যে পুরুষের আসক্তি এবং পুরুষে যে স্ত্রীলোকের আসক্তি, তাহারই নাম ‘ঘোষিৎসঙ্গ’ । সেই আসক্তি ত্যাগ করিয়া গৃহস্থ-লোক শুদ্ধৰ্ব্বঞ্চনামের আলোচনার পরমপুরুষাৰ্থ লাভ করিতে পারেন।