পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] জীবের নিত্য-ধৰ্ম্ম শুদ্ধ ও সনাতন ున অকিঞ্চিৎকর তাহা আমার হৃদয়ে সম্পূর্ণ প্রতীত হইয়াছে এবং তৎসম্বন্ধে যে আমার সংশয় ছিল, অদ্য আপনার কৃপায় তাহ দুব হইল। আমার যে মায়াবাদী সন্ন্যাসী বেশ তাহা পরিত্যাগ করিতে আমার নিতান্ত স্পৃহা হইতেছে। বাবাজী মহাশয় কহিলেন,—মহাত্মন, আমি বেশের প্রতি কোন প্রকার রাগ-দ্বেষ রাখিতে উপদেশ করি না। অন্তঃকরণের ধৰ্ম্ম পরিস্কৃত হইলে বেশ সহজেই পরিষ্কার হইয়া পড়ে। যেখানে বাহ বেশের বিশেষ আদর সেখানে অস্তরের ধৰ্ম্মের প্রতি বিশেষ অমনোযোগ । আমার বিবেচনায় প্রথমে অন্তঃশুদ্ধি করিয়া যখন সাধুদিগের বাহাচারে অনুরাগ হয়, তখন বাহ বেশাদি নির্দোষ হয়। আপনি স্বীয় হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্তের অনুগত করুন । তাহা হইলে যে সকল বাহ সম্বন্ধে রুচি হইবে, তাহ আচরণ করিবেন। শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর এই বাক্যটি সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিবেন। “মৰ্কট বৈরাগ্য না কর লোক দেখাইয়া । যথাযোগ্য বিষয় ভুঞ্জ অনাসক্ত হঞা ॥ অন্তর নিষ্ঠা করবাহে লোক-ব্যবহার । অচিরাতে কৃষ্ণ তোমায় করিবেন উদ্ধার ॥” (চৈঃ চঃ মধ্য ১৬শ ২৩৮-৩৯) সন্ন্যাসী ঠাকুর সে বিষয়ের ভাব বুঝিয়া আর বেশ-পরিবর্তনের কথা উত্থাপন করিলেন না। করযোড়ে কহিতে লাগিলেন,—প্রভো, আমি যখন আপনার শিষ্য হইয়া চরণাশ্রয় করিয়াছি তখন আপনি যে উপদেশ করিবেন, আমি তাহা বিনা তর্কে মস্তকে ধারণ করিব। আপনার উপদেশ শ্রবণ করিয়া আমি বুঝিতে পারিলাম যে, বিমলকৃষ্ণ-প্রেমই একমাত্র বৈষ্ণৰধর্ণ। তাছাই জীবের নিত্য ধৰ্ম্ম। সেই ধৰ্ম্ম পূর্ণ, শুদ্ধ ও সহজ । নান৷