পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88W。 জৈবধৰ্ম্ম সপ্ত বিংশ শ্রীরাধাকান্ত-মঠে উপস্থিত হইলেন। শ্ৰীগোপালগুক গোস্বামী মহাপ্রসূদ পাইবা জিজ্ঞামুদিগের অপেক্ষায় বসিয়াছিলেন। ঐধ্যানচন্দ্র গোস্বামী র্তাহাব নিকটে বসিয়া উপাসনা-পদ্ধতি লিখিতেছিলেন, গুকগোস্বামীর দর্শন অতি অপূৰ্ব্ব । সন্ন্যাসবেশ, কপালে তিলক-উৰ্দ্ধপুণ্ড, সঞ্চাঙ্গে হরিনামাক্ষর, গলদেশে মোটা-মোট চারিকষ্ঠ তুলসীমালা, কবে সৰ্ব্বদা জপমাল, চক্ষুদ্ব য় ধ্যানাবেশে অদ্ধ মুদ্রিত, সময সময় অঞধারায় শোভিত, সময় সময় হা গেীবাঙ্গ ! হা নিত্যানন্দ !—এই ক্রোশন, একটু স্থল শবীব, উজ্জ্বল গ্র্যামপর্ণ, কদলী-বন্ধলাসনে উপষ্টি, কিছু দূরে কাঠ-পছিকণদ্বয, নিকটে জলপূর্ণ কবঙ্গ । বিজয ও ব্রজনাথের বহুশাস্ত্রের অভিজ্ঞতা, সদ্বৈষ্ণবতা এবং শ্রীনবদ্বীপনিবাস—এই কযটী কারণবশতঃ মঠের সকলেই তাহাদিগকে যত্ন করিযা থাকেন । র্তাহাবা সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণত হইলে গুকগোস্বামী তাহাদিগকে সাদরে আলিঙ্গন কবতঃ বসাইলেন । ক্রমে ক্রমে ব্ৰজনাথ বিন্যপূর্বক রসকথা উঠাইলেন। গোস্বামী যত্নসহকারে বলিলেন,— তাছা তোমাদিগকে অনু ভাবাদি বুঝাইয় রসতত্ত্বে প্রবেশ করাহব । বিভব, অনুভাব, সাত্ত্বিক ও ব্যভিচারী—এই চারি প্রকাব সামগ্রীমধ্যে গতকল্য বিভাবতত্ত্ব বুঝাইয়াছি। অদ্য প্রথমেই অমুভাব ব্যাখ্যা করিতেছি, শ্রবণ কর । যাহতে এবং ধৎকর্তৃক রতি বিভাবিত হয়, তাহারই নাম বিভাব বলিয়াছি। এখন যদ্বারা সেই রতির অবোবোধক চিত্তস্থ ভাবসকলের অনুভূতি হয়, সেই সকল উদ্ভাস্বরনাম লক্ষণগুলিকে অনুভব বলিয়া জানিও। তাহারা বাহবিকারেব দ্যায় প্রকাশিত হইলেও চিত্তস্থভাবের অববোধক। নৃত্য, বিলুণ্ঠন (ভূমিতে গড়াগড়ি ), গান, ক্রোশন (উচ্চরব), গাত্রমোঠন (গা-মোড়া ), হুঙ্কার, জম্ভন, দীর্ঘশ্বাস, লোকাপেক্ষাত্যাগ, লালাম্রাব, অট্টহাস, ঘূর্ণ এবং হিকাদি—এই সকল বাহবিকারদ্বারা চিত্তের ভাবসকল প্রকাশ পায়।