পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] জীবের নিত্য-ধৰ্ম্ম শুদ্ধ ও সনাতন । २> বিশুদ্ধ চিদ্বস্তুকে পৃথক্ করিয়া তাহার কৃষ্ণের প্রতি যে বিমল প্রেম, তাহা অনুভব করেন নাই । সেরূপ প্রেম আমি যবনাচার্য্যের কোন গ্রন্থে দেখি নাই। কেবল বৈষ্ণব-গ্রন্থেই দেখিতে পাই । যবনাচাৰ্য্যদিগের ‘রু’ যে শুদ্ধ জীব তাহাও বোধ হয় না । বরং বদ্ধভাবপ্রাপ্ত জীবকেই যে ‘রু বলিয়া থাকেন, এরূপ বোধ হয়। অন্ত কোন ধৰ্ম্মেই আমি বিমল কৃষ্ণ-প্রেমের শিক্ষা দেখি নাই । বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মে সাধাবণতঃ কৃষ্ণপ্রেম উল্লিখিত আছে। শ্ৰীমদ্ভাগবতে “প্রোজুিতকৈতব ধৰ্ম্ম’রূপ শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেম বিশদরূপে বর্ণিত হইয়াছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস এই যে, শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের পূৰ্ব্বে আর কেহ সম্পূর্ণ বিমল কৃষ্ণপ্রেমধৰ্ম্মের শিক্ষা দেন নাই। আমার কথায় যদি তোমাদেৱ শ্রদ্ধা হয়, তবে এই সিদ্ধাস্ত গ্রহণ কর । আমি এই উপদেশ শ্রবণ করিয়া সনাতন গোস্বামীকে বার বার দণ্ডবৎপ্রণাম করিয়াছিলাম। সন্ন্যাসী ঠাকুরও সেই সময় দণ্ডবৎপ্রণাম করিলেন । পরমহংস বাবাজী মহাশয় কহিলেন,—ভক্তপ্রবর, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতেছি, চিত্তনিবেশপূৰ্ব্বক শ্রবণ করুন। জীবস্বষ্টি ও জীবগঠন এই সকল শব্দ মায়িক সম্বন্ধে ব্যবহৃত হয়। জড়ীয় বাক্য কতকটা জড়ভাব আশ্রয় করিয়া কাৰ্য্য করে। ভূত, ভবিষ্যৎ ও বৰ্ত্তমান এই তিন অবস্থায় যে কাল বিভক্ত, তাহা মায়াগত জড়ীয় কাল। চিজগতের যে কাল,"তাহা সৰ্ব্বদা বর্তমান। তাহাতে ভূত ও ভবিষ্যৎ রূপ বিভাগগত ব্যবধান নাই। জীব ও কৃষ্ণ সেই কালে অবস্থান করেন। অতএব জীব নিত্য ও সনাতন এবং জীবের কৃষ্ণপ্রেমরূপ ধৰ্ম্মও সনাতন । এই জড় জগতে আবদ্ধ হইবার পর জীবের স্বষ্টি, গঠন, পতন ইত্যাদি মায়িক কাল-গত ধৰ্ম্ম সকল জীবে আরোপিত হইয়াছে। জীব অণু পদার্থ হইলেও চিন্ময় ও সনাতন । জড় জগতে ।