পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] মধুর রসবিচার 8 * > থাকে না। রসে বৈ সং (ছাঃ ৮১৩১) (১) ইত্যাদি বেদবাক্য বৃথা হইয়া পড়ে। তাহাতে মুখের নিতান্ত অভাব বলিয়া নিৰ্ব্বিশেষ ভাব অনুপাদেয়, সবিশেষ ভাব যত প্রকার হয়, ততই রসের বিকাশ । রসকে মুখ্যতত্ত্ব মনে করিবে। নিৰ্ব্বিশেষ ভাব অপেক্ষা কিঞ্চিম্মাত্র ঐশ্বর সবিশেষ ভাবের উৎকর্ষ হয়। শান্তরসের ঈশ্বপভাবাপেক্ষা দাস্যরসের প্রভূভাব উৎকৃষ্ট । সখ্যভাবে তদপেক্ষা রসের উৎকর্ষ । বৎসল্যে ততোধিক উৎকর্ষ । মধুর রসে বাৎসল্য অপেক্ষ উৎকর্ষ যেমত ঐ সকল রসে পর পর উৎকর্ষ দেখা যায়, সেইরূপ স্বকীয় অপেক্ষ পরকীয় মধুর রস অধিক উৎকৃষ্ট ; আয় ও পর—এই দুইটী তত্ত্ব। আত্মনিষ্ঠ ধৰ্ম্ম—মাত্মার মত ; তাহাতে রসের পৃথক সঙ্গয নাই। কৃষ্ণেব আত্মাবামত ধৰ্ম্ম নিত্য হইলেও পরারামতাধৰ্ম্মও তদ্রুপ নিত্য । পিকদ্ধধৰ্ম্ম সামঞ্জস্যময় পবম পুরুষের পক্ষে ইহা স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম। কৃষ্ণলীলার এক কেন্দ্রে আত্মারামত। তদ্বিপরীত কেন্দ্রে পবীরামতার পরাকাষ্ঠীৰূপ পরকীয়তা। নায়ক নায়িক পরস্পব অত্যন্ত পর হইয়া ও যখন রাগের দ্বারা মিলিত হন, তখন যে অস্তুত রস হয় তাহাই পরকীয় রস। আত্মারামত হুইঙ্গে পরকীয় মধুব রস পর্যস্ত বিস্তৃতি। আয়ারামতাবদিকে টানিলে রসের শুষ্কতা ক্রমশঃ ङ्झेम्नो পড়ে। পরকীয়ের দিকে যত টানিতে পারা যায়, রসেব ততই প্রফুল্লত। হয়। কৃষ্ণই যেস্থলে নায়ক, সেস্থলে পরকীয়তা কখনই ঘূণাস্পদ হয় না। সামান্ত কোন জীব যেখানে নায়ক পদবী প্রাপ্ত হন, সেখানে ধৰ্ম্মধর্মের বিচার আলির পড়ে। মুতাং পরকীয়ভােব সেখানে নিতান্ত হেয় । এই জন্যই পরকীয় পুরুষ ও পর্বোচ। রমণীর সংযোগকে নিতান্ত হেয় বলিয়া কপিগণ স্থির করিয়াছেন । , গ্রীরূপ গোস্বামী বলিয়াছেন বে, সামান্ত অলঙ্কার শাস্ত্রে উপপতিতে যে লঘুত্ব निर्गौंड इब्र, डाहाँ (১) ১৮১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।