পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় | নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম অসম্পূর্ণ, হেয়, মিশ্র ও অস্থায়ী ২৫ সকল ডালে বসিয়া “গেীর নিতাই” বলিয়া রব করিতেছে । ভ্রমর সকল গৌরনামরসপানে মত্ত হইয়া চতুর্দিকে পুষ্পোপ্তানে গুন গুন শব্দ করিতেছে। প্রকৃতি দেবী সৰ্ব্বত্র গেীররসে উন্মত্ত হইয়া আপন শোভা বিস্তার করিতেছেন। আহা ! আমি দিবসে যখন শ্ৰীমায়াপুর দর্শন কবি, তখন ত এ ব্যাপার দেখিতে পাই না । আজ বা কি দেখিতেছি । তখন ঐগুরুদেবকে স্মৰণ করিয়া বলিতেছেন,—“প্রভো, আজ জানিলাম, আপনি আমাকে কৃপা করিয়া অপ্রাকৃত মায়াপুব দর্শন করাইলেন । আজ হইতে আমি শ্ৰীগৌরচন্দ্রের নিজজন বালয়। পরিচয় দিবার একটী উপায় স্বজন করিব । আমি দেখিতেছি যে, অপ্রাকৃত নবদ্বীপে সকলেই তুলসীমালা, তিলক ও নামাক্ষর ধারণ করিয়াছেন। আমিও তাহা কবিব।”—বলিতে বলিতে সন্ন্যাসী ঠাকুরের একপ্রকার অচেতন অবস্থা উপস্থিত হইল । অতি অল্পক্ষণের মধ্যেই আবার ঠাকুরের জ্ঞান হষ্টল । জ্ঞান হইল বটে, কিন্তু সে অপূৰ্ব্ব চিন্ময় ব্যাপারসকল আর নয়নগোচর হইল না। তখন সন্ন্যাসী ঠাকুর কাদিতে কাদিতে বলিলেন,—আমি বড় সৌভাগ্যবান, যেহেতু শ্ৰীগুরুকৃপা লাভ করিয়া ক্ষণকাল শ্ৰীনবদ্বীপধাম দর্শন করিলাম। পরদিন সন্ন্যাসী ঠাকুর স্বীয় দগুটী জলে বিসর্জন দিয়া গলদেশে ত্রিকষ্ঠ তুলসী মালা ও ললাটে উৰ্দ্ধপুণ্ড ধারণ করিয়া হরি হরি' বলিয়া নাচিতে লাগিলেন। গোক্রমবাসী বৈষ্ণববর্গ তাহার অপুৰ্ব্ব নুতন বেশ ও ভাব দর্শন করিয়া তাহাকে ধন্য ধন্য বলিয়া দণ্ডবৎ প্রণাম করিতে লাগিলেন। সন্ন্যাসী ঠাকুর ঐ সময়ে একটু লজ্জিত হইয়া বলিলেন,— ভাল আমি বৈষ্ণবদিগের কৃপাপাত্র হইবার জন্ত বৈষ্ণব-বেশ গ্রহণ করিলাম, কিন্তু এ আবার একটা দায় উপস্থিত হইল। আমি ঐগুরু- ' দেবের মুখে বারম্বার একথাটী শুনিয়াছি,— ·