পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] মধুর রসবিচার (to 3) দাম্পত্যই সিদ্ধ হয়। অভিমম্বাদি কেবল তত্তদভিমানের অপতার বিশেষ ; কৃষ্ণের লীলাপুষ্টির জন্ত পতি হইয়া কৃষ্ণকে উপপতি ভাবে ব্রজবঙ্গের নেতা করিয়াছেন। প্রপঞ্চান্তীত গোলোকে অভিমান মাত্রেই রসের সম্পূর্ণ পুষ্টি হয়। প্রপঞ্চান্তর্গত গোকুলে বিপাহধৰ্ম্ম ও তদ্ধৰ্ম্মলঙ্ঘন প্রতীতির জন্ত পৃথক্ সত্বৰূপে তত্তদভিমানের প্রকটতা যোগমায়াকর্তৃক সিদ্ধ। স্বপ্নে এই তত্ত্বের পরিস্কৃতি লাভ করিয়া বিজয়কুমারেব সমস্ত সংশয় দুর হইল। প্রপঞ্চাতীত গোলোকেই যে ভৌমগোকুল ইহা প্রত্যয হইল । ব্রজবসের পরমানন্দ তাদাত্ম্যস্বরূপত হৃদযে উদিত হইল। অষ্টকালীন ব্রজের নিত্যলীলায় দৃঢ়তা জন্মিল। তখন প্রাতে উঠিয়া মনে করিলেন যে, গুরুদেব আমায় অসীম কৃপা করেন । এখন রসের উপকরণগুলি তাহাৰ শ্ৰীমুখ হইতে শ্রবণপূর্বক ভজনে নিষ্ঠা লাভ করি। প্রসাদ পাইয়৷ বিজয়কুমার উপযুক্ত সময়ে ঐ গুরুদেবের পাদপদ্মে পড়িয়া অনেক প্রেমক্রন্দন করিলেন । গুরুদেব তাহাকে উঠাইরা কহিলেন,—বাবা, তোমাতে যথার্থ কৃষ্ণকৃপা হইযাছে। “তোমাকে দেখিলে আমি ধন্ত হই’—বলিতে বলিতে গুকদেবের প্রেমাবেশ হইতে লাগিল । বিজয়কে কোলে করিয়া ‘প্রেমবিবৰ্ত্তের” এই পদ্যটি গান করিতে লাগিলেন— ‘প্রসন্ন হইয়া কৃষ্ণ যারে কৃপা করে । সেই জন ধন্ত এই সংসার ভিতরে ॥ গোলোকের পরমভাব তার চিত্তে স্কুবে। গোকুলে গোলোক পায় মায়া পড়ে দুরে ॥’ অনেকক্ষণ এই পদ গান করিতে করিতে গুরুদেবের বাহ ফৰ্ত্তি হইল। বিজয় সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিয়া কহিত্তে লাগিলেন । বিজয়। প্রভো, আমি কৃষ্ণকৃপা জানিনা। আপনার কৃপাই আমার সফলপ্রাপ্তির হেতু বলিয়া জানি। গোলোকায়স্কৃতির চেষ্টা পরিত্যাগ