পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

བ༦ །། জৈবধৰ্ম্ম [ তৃতীয় “তৃণাদপি মুনীচেন তরোরপি সহিষ্ণুনা। অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তনীয়ঃ সদা হরি: ॥” ( ১ ) 85: 5: अखJ २०1२४ তখন, যে বৈষ্ণবগণকে গুরু বলিয়া মনে করি, র্তাহারা আমাকে প্রণাম করিতেছেন, আমার কি গতি হইবে ? এইরূপ চিত্তে আলোচনা করিতে করিতে পরমহংস বাবাজীর নিকট গমন করত: তাহাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন । মাধবীমণ্ডপে আসীন হইয়া বাবাজী মহাশয় হরিনাম করিতেছিলেন । সন্ন্যাস ঠাকুরের সম্পূর্ণ বেশ পরিবর্তন ও নামে ভাবোদয় দেখিয়া প্রেমাশ বর্ষণদ্বার স্বীয শিষ্যকে স্নান করাইতে করাইতে র্তাহাকে অলিঙ্গন করিলেন । বলিলেন,— ওঙ্গে বৈষ্ণবদাস, আজ তোমাব মঙ্গলপূর্ণদেহ স্পর্শ করিয়া আমি কৃতার্থ হইলাম । এই কথা বলিবামাত্র সন্ন্যাসী ঠাকুরের পূর্ব নাম দূর হইল। এখন বৈষ্ণবদাস নামে তিনি পরিচিত হইলেন । সন্ন্যাসী ঠাকুর আজ হইতে একটা অপূৰ্ব্ব জীবন লাভ করিলেন। মায়াবাদী সন্ন্যাসিবেশ, সন্ন্যাসাশ্রমের অহঙ্কারপূর্ণ নাম এবং আপনাকে মহবুদ্ধি, এ সমস্ত দূর হইল। অপরাহ্লে শ্রীপ্রচ্যুম্নকুঞ্জে শ্রগোদ্রম ও শ্ৰীমধ্যদ্বীপবাসী অনেকগুলি বৈষ্ণব পরমহংস বাবাজী মহাশয়কে দর্শন করিতে আসিয়াছিলেন। পরমহংস বাবাজী মহাশয়কে পরিবেষ্টন করিয়া সকলে বসিয়াছেন। সকলেই তুলসী মালায় হরিনাম জপ করিতেছেন। কেহ কেহ “ই গৌরাঙ্গ নিত্যানন্দ”, কেহ কেহ “হা সীতানাথ’ এবং কেহ কেহ *হে জয় শচীনন্দন”—এইরূপ বলিতে বলিতে চক্ষের জলে ভাসিতেছেন। ( ১ ) তৃণাপেক্ষ সুনীচ জানিয়া, তরু অপেক্ষা সহনশীল হইয়া, স্বয়ং অভিমানবর্জিত হইয়। অপরকে সন্মান প্রদানপূর্বক সৰ্ব্বদা হরিকীৰ্ত্তন কৰ্ত্তব্য।