পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] মধুর রসবিচার Q)○ গোস্বামী । মায কল্পিত বটে, কিন্তু জডমায়াকল্পিত নয। জড় - মাযা কৃষ্ণলীলাকে স্পর্শ কবিতে পাবে না। প্রপঞ্চমধ্যগত হইযাও ব্ৰজুলীলা সম্পূর্ণরূপে জড়মায়াব অতীত। চিচ্ছক্তির অন্ত নাম—যোগমায । তিনিই কৃষ্ণলীলায় এমত কোন ব্যাপাব প্রকট করেন যাহা দেখিযা জড়মাযাবিষ্ট দ্রষ্টাগণেব চক্ষে অন্ততব প্রত্যয হইয় উঠে। তিনিই গোলোকস্থ পবোঢ| অভিমানকে নিত্যপ্রিয়াগণেব সঙ্গে সঙ্গে আনিয ব্রজে সেই সেই অভিমানকে পৃথক সত্ত্বরূপে স্থিত কবেন। তাহদেব সহিত নিত্যপ্রিযাদিগেব বিবাহ সম্পাদনপূৰ্ব্বক কৃষ্ণকে উপপতি কবেন । সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষ ও সৰ্ব্বজ্ঞা শক্তিগণ নিজ নিজ রসাবেশে সেই সেই প্রত্যয় স্বীকাব করেন । ইহাতে বসের উৎকর্ষ এবং স্বেচ্ছামযের ইচ্ছাশক্তিব পর্বমোৎকৰ্ষ লক্ষিত হয়। এরূপ উৎকর্ষ বৈকুণ্ঠ ব৷ দ্বারকাদিতে হয় না। প্রাণসখীগণেব নিত্যপ্রিয়াদের সহিত সালোক্য লাভ হইলে কৃষ্ণে সঙ্কুচিত পতিভাব উদার হইয়া উপপতিভাব হহয়! পড়ে । তাহাই তাহাদের চবম লাভ । বিজয় । অপূৰ্ব্ব সিদ্ধাস্ত । প্রাণ জুড়াইল, এখন প্রভো, নিত্যপ্রিয়া সম্বন্ধে উপদেশ করুন । গোস্বামী। তোমার মত অধিকারী ন পাইলে কি এত গুঢ়তত্ব শ্ৰীগৌরচন্দ্র আমার মুখে প্রকাশ কবিতেন । দেখ, সৰ্ব্বজ্ঞ শ্ৰীজীব -এবিষয়ে কতই যে হৃদয় গোপন করিয়া স্থানে স্থানে বিচার করিয়াছেন, তাহা তাহার টীকাসকল ও কৃষ্ণসন্দর্ভাদি গ্রন্থ পড়িলে জানিতে পার। পাছে অনধিকারিগণ এত গুঢ়তত্ত্ব জানিয়া বিকৃতধৰ্ম্ম আশ্রয় করে, সেই ভয়ে ঐজীবাচাৰ্য সৰ্ব্বদা উৎকণ্ঠিত ছিলেন। এখনকার রসবিকৃতি ও রসাভাসাদি যাহা বৈঞ্চবপ্রায় লোকে দেখিতেছ তাহাই ঐ জীব আশঙ্কা করিতেন । এত সাবধান হইয়াও, অনিষ্ট রক্ষা করিতে পারেন নাই । S)0