পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] মধুর রসবিচার Qこの করিতে করিতে কাশীমিশ্রের ভবনে চলিলেন । সমুদ্রের উৰ্ম্মি ও লহৰী ইত্যাদি দেখিয় তাহার মনে বসসমুদ্রের ভাবের উদিত হইতে লাগিল । তিনি মনে করিলেন, আহা ! এই সমুদ্রই আমার ভাব উদয় করিতেছে। জড়পস্ত হইয়াও আমার গতি গুপ্ত চিদ্ভাবকে উদঘাটন করিতেছে। প্রভু আমাকে যে রসসমুদ্রের কথা বলেন সে এইরূপ । আমার জড়দেহ ও লিঙ্গদেহ দূরে নিক্ষিপ্ত হইলে আমি রসসমুদ্রের তীবে নিজ মঞ্জরীস্বৰূপে বসিয়া রসাস্বাদন করিতেছি । নবায়ুদলৰ্ণ কৃষ্ণই আমাদের একমাত্র প্রাণনাথ । তাস্থার পাশ্বস্থিত বৃষভানুনন্দিনীই আমাদের ঈশ্বরী অর্থাৎ জীবিতেশ্ববী। রাধাকৃষ্ণের প্রণয়বিকারঙ্গ এই সমুদ্র । রসভাবসমূহই এই উৰ্ম্মিমালা। যখন যে ভাপ উঠতেছে তাহাঙ্গ বিচিত্র লহরী হইয়া তটস্থ সর্থী যে আমি আমাকে প্রেমরসে ভাসাইতেছে। রসসমুদ্রষ্ট—কৃষ্ণ সুতরাং সমুদ্র তদ্বর্ণবিশিষ্ট, তাহাতে প্রেমতরঙ্গ বাধা সুতরাং তাহাতে বর্ণণাবণ্যগত গৌরীত্ব। বৃহদাহদুর্শ্বিগণ সপী, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লহরীগণ সগীব পরিচাবিক। আমি একজন তন্মধ্য হইতে দুবতটে নিক্ষিপ্ত অনুপরিচাবিক বিশেষ। এ সকল ভাবিতে ভাবিতে বিজয় মুগ্ধ হইলেন। কিয়ংকাল পরে সম্বিং লাভ করিয়া, ধীরে ধীরে ঐগুরুর চরণে গিয়া সাষ্টাঙ্গপ্রণাম করিয়া দীনভাবে বসিলেন । গোস্বামিপাদ তাহাকে অলিঙ্গন করিয়া বলিলেন,—বিজয়, তুমি স্বচ্ছন্দে আদি মাছ ত’ ? বিজয় কহিলে ন,—প্রভো, আপনার কৃপাই আমার সকল মঙ্গলের মূল। আমি সখীর অনুগত হুইবার জন্ত সখীদিগের ভেদ ভাল করিয়া জানিতে ইচ্ছা করি । গোস্বামী । বিজয়, সখীদিগের মাহাত্ম্য বর্ণন করা জীবের সাধ্যাতীত। তবে আমরা শ্রীরূপের অনুগত হইয়া ইহাই অনুভব করিয়াছি। ব্রজসুন্দরী সখীগণই প্রেমলীলা বিহারের সম্যক্ বিস্তারকারিণী। তাহারাই