পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘Lෆ জৈবধৰ্ম্ম [ তৃতীয় দৈন্তপূর্বক কহিতে লাগিলেন,—আমি অতি অধম ও অকিঞ্চন । এরূপ মহামান্ত বিদ্বংসভায় আমার কিছু বলা নিতান্ত অন্যায়, তবে গুরু-আজ্ঞা সৰ্ব্বদা শিবোধাৰ্য্য। আমি গুরুদেবের মুখপদ্মনিঃস্থত যে তত্ত্ব-উপদেশরূপ মধু পান করিয়াছি, তাহাই স্মরণপূর্বক যথাসাধ্য বক্তৃত। করিতে প্রবৃত্ত ইলাম। ইহা বলিয়া বৈষ্ণবদাস পরমহংস বাবাজী মহাশয়ের পদধূলি সৰ্ব্বাঙ্গে মৃক্ষণকরত: দণ্ডায়মান হষ্টয়া বলিতে লাগিলেন । —যিনি সাক্ষণং পরমানন্দময় ভগবান, ব্রহ্ম যাহার অঙ্গকাস্তি এবং পরমাত্ম। র্যাহার তাংশ, সেই সমস্ত প্রকাশ ও বিলাসের আধাররূপ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতষ্ঠ আমাদিগকে বুদ্ধিবৃত্তি প্রেরণ করুন । মঘাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্র বেদশাস্ত্রের অনুগত বিধিনিষেধনির্ণায়ক শাস্ত্র বলিয়া জগতের সৰ্ব্বত্র গণ্যমান্য হইয়াছেন। মানব-প্রকৃতি দুই প্রকার—বৈধী ও রাগামুগা । যতদিন মানব-বুদ্ধি মায়ার অধীন ততদিন মানব-প্রকৃতি অবশ্যই বৈধী থাকিবে। মায়াবন্ধ হইতে মানববুদ্ধি পরিমুক্ত হইলে আর বৈধী প্রবৃত্তি থাকে না,— রাগামুগা প্রবৃত্তি প্রকটিত হয়। রাগানুগ। প্রকৃতিই জীবের শুদ্ধ প্রকৃতি— স্বভাবসিদ্ধ, চিন্ময় ও জড়মুক্ত। শ্ৰীকৃষ্ণ-ইচ্ছায় শুদ্ধ চিন্ময় জীবের জড়সম্বন্ধ দূরীভূত হয় ; কিন্তু যতদিন কৃষ্ণের ইচ্ছা না হয়, ততদিন জড়সম্বন্ধ কেবল ক্ষয়োম্মুখ হইয়া থাকে। সেই ক্ষয়োম্মুখ অবস্থায় মানববুদ্ধি স্বরূপতঃ জড়মুক্ত অর্থাৎ তখনও বস্বতঃ গুড়মুক্তি হয় নাই । বস্তুতঃ জড়মুক্ত হইলে শুদ্ধজীবের রাগাত্মিক বৃত্তি স্বরূপতঃ ও বস্তুতঃ উদিত হয়। ব্ৰজ জনের যে প্রকৃতি, তাহা রাগাত্মিক প্রকৃতি । ক্ষয়োম্মুখ অবস্থায় সেই প্রকৃতির অনুগত হইয়া জীব সকল রাগামুগা হইয়া পড়েন। জীবের পক্ষে এ অবস্থা বড়ই উপাদেয়। এই অবস্থা যে পর্য্যস্ত না হয়, সে পৰ্য্যন্ত মানববুদ্ধি মায়িক বস্তুতেই অনুরাগ করে। নিসর্গক্রমে মায়িক বিষয়ের অল্পরাগকে মূঢ় জীব স্বীয় তমুরাগ বলিয়া মনে করে। চিদ্বিষয়ের বিশুদ্ধ