পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলা প্রবেশ-বিচার "> ふ অর্থাৎ, হে বরোর রাধে, অমৃত-সমুদ্রময় আশাভরে অতিকষ্টে আমি কালাতিপাত কবিয়াছি, এখন তুমি আমাকে কৃপবিধান কর। তোমার কৃপা ব্যতীত আমার প্রাণ, বা ব্ৰজবাস বা কৃষ্ণদাস্তেই বা কি আছে ? হা গোকুলচন্দ্র ! কৃষ্ণ ! হা মধুরস্মিত সুপ্রসন্ন মুখারবিন্দ ! হা কৃপা ! তুমি যেখানে প্রণয়ের সহিত শ্ৰীৰাধাকে লতীয় নিত্য বিহার কর, আমাকে প্রিয়-সেবার জন্য তথায় লইয়া রাখ। বিপ্লয়। এখন পাল্য-দাসীব স্বভাব বলুন। গোস্বামী । ব্রজবিলাস-স্তোত্রে শ্রীদাস গোস্বামী এই শ্লোকে পাল্যদাসীর ভাব নিরূপণ করিয়াছেন—( ব্রজবিলাস-স্তব, ২৯ শ্লোক )— সান্দ্রপ্রেমরসৈ প্লতা প্রিয়তয়া প্রাগলভ্যমাপ্ত তয়োঃ প্রাণ-প্রেষ্ঠবযস্যযে বহুদিনং লীলাভিসারং ক্রমৈঃ । বৈদগ্ধ্যেন তথা সগী প্রতি সদা মানস্ত শিক্ষাং রসৈঃ যেয়ং কবিয়তীহ হস্ত ললিতা গুহ্লাতু সা মাং গণৈঃ ॥ অর্থাৎ যিনি গাঢপ্রেমরসে পরিপ্ল ত হইয়া প্রিয়তাদ্বারা প্রাগলভ্য লাভ কবতঃ প্রতিদিন ক্রমে প্রাণপ্রেষ্ঠ রাধাকৃষ্ণের লীলাভিসার করাইয় থাকেন এবং বৈদগ্ধ্যক্রমে স্বায় সখী ঐরাধকাকে রসের সহিত মান শিক্ষা দেন, সেই ললিতা আমাকে নিজ গণে গ্রহণ করুন অর্থাৎ আমাকে পাল্য-দাসী বলিয়া স্বীকার কবন। বিজয় । শ্রীললিতার অন্ত সহচরীদিগের সহিত পাল্য-দাসী কিরূপ ব্যবহার করিবেন ? গোস্বামী । শ্ৰীদাস গোস্বামীর সমস্ত রসগ্রন্থই শ্ৰীস্বরূপ গোস্বামীর শিক্ষণ। তিনি লিখিয়াছেন, যথা ( ব্রজবিলাসস্তব, ৩৮ শ্লোক )--- তাম্বু লার্পণ-পাদমর্দনপক্ষোদানাভিসারাদিতিবৃদারণ্যমহেশ্বরীং প্রিয়তয়া যান্তোষয়ন্তি প্রিয়াঃ ।