পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] সম্পত্তি-বিচার 6 جويا বিজয় । ক্রমহীন শ্রবণ-দশা কিরূপ ? . গোস্বামী। কৃষ্ণলীলা অসংলগ্নরূপে শ্রবণ করার নাম ‘ক্রমহীন’ ; অব্যবসায়ি-বুদ্ধিতে কৃষ্ণলীলা শ্রবণ করিলে অসংলগ্ন হয়—লীলা-সকলের পরস্পর সম্বন্ধ উদিত হয় না, সুতরাং রসোদয় হয় না । বিজয় । ক্রমশুদ্ধ শ্রবণ-দশা কিরূপ ? গোস্বামী। ব্যবসায়া ত্মক বুদ্ধির সহিত যখন সংলগ্নরূপে কৃষ্ণলীলাশ্রবণ হয়, তখনই রসোদয়ের উপযোগী হয়। অষ্টকালীয় নিত্যলীল এবং জন্মাদি নৈমিত্তিক লীলা পৃথক্ করিয়৷ শ্ৰুত হইলে, ক্রমশুদ্ধ শ্রবণ হয় । এই ক্রমশুদ্ধ শ্রবণই এই ভজনপৰ্ব্বে পয়োজন। ক্রমশুদ্ধ লীলা শ্রবণ করিতে কবিতে লীলার মাধুৰ্য্য প্রশ্নটিত হয় এবং শ্রোতার হৃদয়ে রাগামুগ-প্রবৃত্তি উদিত হয়। তখন শ্রোতা মনে করেন—আহা ! মুবলের কি আশ্চাৰ্য্য সখ্যভাব ! আমি তাঙ্গার ন্যায় সখ্যরসে কৃষ্ণসেবা করিব—এই প্রবৃত্তির নাম ‘লোভ’। লোভের সহিত ব্ৰজবাসীর ভাবে অমুগত হইয়া কৃষ্ণভজন করাকে “রাগাকুগা ভক্তি’ বলিয়াছেন । সখ্যরসের উদাহরণ দিলাম। দাস্তাদি চারি রসেই এই প্রকার রাগামুগা ভক্তি আছে। তুমি আমার প্ৰাণেশ্বর নিমানন্দের কৃপায় শৃঙ্গার-রসের অধিকারী, সুতরাং তোমার ব্রজসুন্দরীদিগের সেবা দেখিয়া লোভ হইয়াছিল, সেই লোভেই তোমাকে প্রাপ্তি-পথ দিয়াছে। বস্তুতঃ গুরুশিষ্য-সংলাদষ্ট এ পর্কের শ্রবণ-দশ । বিজয়। শ্রবণ-দশা কি হইলে পূর্ণ হয় ? গোস্বামী। কৃষ্ণলীলার নিত্যত্ব অনুভব হইলে ; তাহা শুদ্ধ অপ্রাকৃত বলিয়া মনোহর হয় ; তাহাতে গ্রবেশ করিতে ব্যাকুলত জন্মে। গুরুদেব শিষ্যকে সাধকগত পূৰ্ব্বোল্লিখিত একাদশটা ভাব দেখাইয়া দেন। - পিষ্ট্রে মনোভাব ও লীলার রঞ্জকতা লগ্ন হইলে প্রবণ-দর্শ পূর্ণ হইল ; শঙ্ক ব্যাকুল হষ্টয়া বরণ-দশা লাভ করেন 9 е ,