পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্মের নামান্তর বৈষ্ণবধৰ্ম্ম (?& অভিধেয় তত্ত্ব। এই তত্ত্ব বেদাদি সমস্ত শাস্ত্রে প্রবলরূপে অভিহিত হইয়াছে বলিয়া শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু ইহাকে অভিধেয়তত্ত্ব বলেন। সজল নয়নে লাহিড়ী। গুরো ! আমি আপনার শ্ৰীচরণ আশ্রয় কবিলাম। আপনার মধুমাথা কথা শুনিয়া আমাৰ সম্বন্ধজ্ঞান হইল এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে কি জানি আপনার কৃপাবলে বর্ণগত, বিদ্যাগত ও শিক্ষাগত সমস্ত পূৰ্ব্বসংস্কার দূর হইল। আপনি কৃপা করিয়া আমাকে অভিধেয় তত্ত্ব শিক্ষা দেন । বা। আর চিন্তা নাই। আপনার যখন দীনতা উপস্থিত হইয়াছে, তথন শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত আপনাকে অবশু কৃপা করিয়াছেন। জড়জগতে আবদ্ধ হইয়া জীবের পক্ষে সাধুসঙ্গই একমাত্র উপায়। সাধুগুরু কৃপা করিয়া ভজনশিক্ষা দেন। সেই ভজনবলে ক্রমশঃ প্রয়োজনলাভ হয়। হরিভজনই অভিধেয় । লা। আমাকে বলুন, কি করিলে হরিভজন হয় ? বা। ভক্তিই হরিভজন । ভক্তির তিনটী অবস্থা—সাধন, ভাব ও প্রেম। প্রথমে “সাধন’ভক্তি সাধন করিতে করিতে ‘ভাবোদয়’ হয় । ভাব সম্পূর্ণ হইলে তাহাকে ‘প্রেম’ বলে। লা। সাধন কতপ্রকার ও কি প্রণালীতে করিতে হয়, আজ্ঞা করুন। বা । শ্ৰীহরিভক্তিরসামৃতসিন্ধু গ্রন্থে ত্ররূপগোস্বামী এ সমস্ত বিষয় বিস্তৃত-রূপে লিখিয়াছেন। আমি সংক্ষেপে বলি। সাধন নববিধ— “শ্রবণং কীৰ্ত্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনং। . অর্চনং বন্দনং দাস্তং সখ্যমাত্মনিবেদনম্।।” (ভা ৭৷৫২৩ ) শ্রবণ, কীৰ্ত্তন, স্মরণ, পাদসেবা, অর্চন, বন্দন, দান্ত, সখ্য, আত্মনিবেদন—এই নববিধ সাধনভক্তি শ্ৰীমদ্ভাগবতে লিখিত হইয়াছে। এই নয়প্রকারকে ইহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধরিয়া চৌষটিপ্রকার করিয়া গোস্বামি