পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১০ ৷ সাধুর মনের ভাব। ঠাকুর বাড়ীর ঝাড়ু দেওয়া রামচন্দ্রের সেবা নয়। কিন্তু স্ত্রীর নিক্সট P ! হইতে আসিয়া আপনাকে এরূপ হীন বলিয়া বােধ করিতে লাগিলেন । * যে, ইচ্ছা করিয়া হীন-সেবা করিতে লাগিলেন। আর ঠাকুর মহাশয়কে দেখিয়া অনুতাপানিল প্ৰজ্জ্বলিত হওয়াতে, দুঃখে আপনার পৃষ্ঠে আপনি ঝাড়ু মারিতে লাগিলেন। অবশ্য সমুদায় তাহারি দোষ। বৈষ্ণবধৰ্ম্মে 7/1 বাহ অপবিত্রতা বড় একটা কিছু নয়। শিশু বেলা প্ৰভু ঝুটা হাড়ির উপরে বসিয়া জীবকে সে শিক্ষা দেন। তবে কি না, রামচন্দ্রের উদাসীনের সহিত বাস। সেই নিমিত্ত স্ত্রীর কাছে। যাইতে বাধা বাধ করে। কিন্তু প্ৰধান কথা এই যে, ঠাকুর মহাশয় মৃত্তিকায় শয়ন করেন, তিনি কিরূপে উত্তম শয্যায় শয়ন করিয়া শান্তি পাইবেন । তাই ঝাড়ু দিতেছিলেন, তাই ঠাকুর মহাশয়ের দর্শনে অনুতাপানিলে জলিয়া উঠিলেন। , তবে তাহার স্ত্রীর দুঃখ ; কিন্তু সাধুগণ সে দুঃখ দেখিতে পান * না। তাহারা বলেন, “তোমার বিরহ-জনিত দুঃখ বটে ; কিন্তু আমারও তাঁসে দুঃখ আছে। আমি যে ভগবানের ভঞ্জন করিতেছি, ইহাতে কি, তোমার মঙ্গল হইবে না?” বোধ হয়, রামচন্দ্ৰ ইহাই বলিয়া তাহার অশেষ ভাগ্যবতী স্ত্রীকে বুঝাইতেন । ܕ . 。 *、 .17:014:19:11 | . 。 digitized at BRCincia Corti