পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*গ্রন্থ-বিরহে খেদ ও খেতরি যাত্ৰা । আচাৰ্য্য প্ৰভু অনেক গ্রাম তল্লাস করিয়া কাগজ কলম ংগ্ৰহ • করিলেন ও শ্ৰীজীব গোস্বামীকে সমুদয় বিবরণ লিখিয়া ব্ৰজবাসীদের হস্তে পত্র দিলেন। আচাৰ্য্য প্ৰভু আরও লিখিলেন যে, “আপনাদের আজ্ঞা অনুসারে ঠাকুর মহাশয় ও শ্যামানন্দ খেতরি যাইতেছেন। আমি গ্রন্থ অনুসন্ধান না করিয়া এ স্থান ত্যাগ করিব না।” ঠাকুর মহাশয় আচাৰ্য্য প্রভুকে বলিলেন, “তোমার আজ্ঞা अभि লঙ্ঘন করিতে পারি না। কিন্তু এই-বনে তোমাকে এক ফেলিয়া যাইব ইহা কিরূপে হইতে পারে?” । ইহাতে আচাৰ্য্য। প্রভু উত্তর করিলেন, “বিষ্ণুপুর গ্রাম ইহার । নিকটে । আমি রাজার সাহায্য লইয়া গ্রন্থের অনুসন্ধান করিব। আর এক কথা বিবেচনা করিতে হইবে যে, যে দুস্থ্য গাড়ী লষ্টয়া গিয়াছে, সে ধন লোভে এই কাৰ্য্য করিয়াছে। গ্রন্থ সে রাখিবে কেন ? অবশ্য তল্লাশ করিলে সে গাড়ী পাওয়া যাইবে।” ঠাকুর মহাশয় আচাৰ্য্য প্রভুর আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে পারিলেন না। (আচাৰ্য্য প্রভুকে তিনি গুরুত্ব ন্যায় ভক্তি করিতেন। গুরুজনের আজ্ঞা লঙ্ঘন বৈষ্ণব মতে বিধি নাই। ঠাকুর মহাশয়ের যদিও আচাৰ্য্য প্রভুকে একাকী রাখিয়া যাইতে হৃদয় বিদীর্ণ হইতে লাগিল, কিন্তু বাধ্য হইয়া তাঁহাকে বিষ্ণুপুরে রাখিয়া, ও তিনি ও শ্যামনন্দ কঁাদিতে কঁাদিতে দেশাভিমুখে চলিলেন। ঠাকুর মহাশয় কি অবস্থায় চলিলেন, তাহা বৰ্ণনা করা দুঃসাধ্য। * } * ৰথ প্রেমবিলাসে :- “প্ৰাতঃকালে দুই জনে করিল বিদায়। কে কহিবে কত দুঃখ উঠিল। হিয়ায় । করে ধরি কহে শুন ওহে নরোত্তম । না পাইলে গ্রন্থ সব ছাড়িব জীবন ৷ digitized at BRCIndia.com