পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিলেন। বাহির হইয়া দেখেন, দ্বারের নিকটে ৮ श्ौ ठेलागौन भूदक नाgाश्व। ঠাকুর মহাশয়ের পরিধান কৌপিন ও বহিৰ্ব্বাস, সঙ্গে হরিনামের মালা ব্যতীত আর কোন সম্বল নাই। পথক্লেশে, উপবাসে, ও মনের দুঃখে, বদন ও দেহ শুকাইয়া গিয়াছে। কিন্তু তথাপি সর্বাঙ্গ দিয়া অমানুষিক তেজ বাহির হইতেছে। মাতা পিতা ঠাকুর মহাশয়ের দশা দেখিয়া সুখে দুঃখে৷ ভূমিতে লুটাইয়া পড়িলেন। নরোত্তম তখন তাহাদের চরণে প্ৰণাম করিলেন। ইহাতে তাহারা ভয় পাইলেন, যেহেতু পুত্ৰকে দেখিয়া তাহাদের বাৎসল্যের স্থানে ভক্তির উদয় হইয়াছে } ক্ৰমে পাত্ৰ মিত্ৰ প্ৰভুতি কৰ্ম্মচারিগণ ও গ্রামস্থ সকল লোক আসিয়া ঠাকুর মহাশয়ের চরণে লুটাইয়া পড়িলেন । কিন্তু ঠাকুর মহাশয় তাহদের কাহারও সহিত ভাল করিয়া কথা কহিতে পারিলেন না। তিনি স্তব্ধ হইয়া রহিলেন। তাহার হৃদয়ে। গ্ৰন্থ চুরিরূপ জ্বলন্ত আগুণে জ্বলিতেছে। এমন কি, তাহার বৃদ্ধ পিতা মাতার সমাগমেও সুখ ভোগ করিতে পারিতেছেন না। কেবল মাঝে মাঝে “হারিবোল, হরি বোল,” বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়িতেছেন। পিতা মাতা পুড়কে লইয়া আবার সংসার করিবেন, ইহাই তাঁহাদের * ... মনের বাসনা, কিন্তু পুত্রের ঘোর বৈরাগ্য দেখিয়া কিছু বলিতে সাহস, হইতেছে না। জননী তাহাকে বাড়ীর মধ্যে লইয়া যাইতে চাহিলেন, তাহাতে নরোত্তম কান্দিতে কান্দিতে বলিলেন যে, পিতা মাতাকে সেবা করা ও সুখ দেওয়া পুত্রের কাৰ্য্য এবং সেই নিমিত্ত তিনি আসিয়াছেন, নতুবা তাহার দেশে আসিবার কোন কারণ ছিল না । তিনি। শুরুর নিকট ব্ৰহ্মচৰ্য্য ব্ৰত অবলম্বন করিয়াছেন, সে ব্ৰত ভঙ্গ করিলে পতিত হইবেন । যাহাতে তাহার সেই ব্ৰত ভঙ্গ না হয়, তাহাই যেন digitized at BRCIndia.com