পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|- “ ...তাহারা করেন। ইহা বলিয়া অতি কাতরে ঠাকুর মহাশয় পিভামাতাকে অনুনয় করিতে লাগিলেন । বলিলেন “মন স্বভাবতঃ দুর্বীয়, বিষয়ে লোভী, আবার যদি আমায় আপনাদের বিষয়ের মধ্যে থাকিম্ভে হয়, তবে আমার প্রলোভন লক্ষগুণ বৃদ্ধি পাইবে। এমন কি, এই 。 রাজধানীতে আমার থাকা উচিত নয় ; কিন্তু করি। কি, আপনাদের স্নেহে আমাকে এখানে রাখিতেছে। ৰাহাতে আমার ধৰ্ম্ম ব্ৰক্ষা হয়, তাহা আপনারা করিবেন।” নিরুর মাতা পিতা এ কথার কোন উত্তৰ দিতে পারিলেন না । “ ঠাকুর মহাশয় | বাড়ীর ভিতরে গমন করিলেন না, ঠাকুর বাড়ী রহিলেন । স্বপাকে একবার আহার, তিন সন্ধ্যা স্নান, ও দিবানিশি ভজন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। মাতাপিতাকে দিনান্তে একবার মাত্র প্ৰণাম ও স্নেহ-সম্ভাষণ করেন, তাহাতেই মাতাপিত কৃতাৰ্থ। কারণ ঠাকুর মহাশয়কে দর্শন করিয়া আর তাহাকে তীহাদের পুত্র জ্ঞান রহিল না। মাতা পিতা ও গ্রামস্থ ভাবৎ লোকের মন ঠাকুর মহাশয়ের সঙ্গে ভ্ৰৰ হইল ও সকলেরই মনে ভক্তির উদয় হইল। রাজকুমারকে দেখিতে দেশ দেশান্তর হইতে লোক আসিতে লাগিল ৷ কিন্তু তিনি উদাসীন। মাতা পিতার আগ্রহে ঠাকুর, মহাশয় নিজের কাহিনী সমুদায় বলিলেন। ভঁহাৱা কি ব্ৰত তাহাও বলিলেন । তিনি উদাসীন ব্ৰত লইয়াছেন। ৰিবাহু। কক্স ত অনেক দূরের কথা, বিষয়ীর অন্ন পৰ্য্যন্তও তিনি গ্ৰহণ করিবেন না। সংসার মধ্যে থাকিয়া ভঁহাৱা এই কঠোর ব্ৰত পালন করা কঠিন হইবে, তৰু তিনি তঁহাদের স্নেহে বশীভুত হইয়া গুরুর আজ্ঞাক্ৰমে খেতরি স্বাস করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন। অর্থাৎ digitized at BRCin dia com থেতরিতে বাস। S. এখন আর রাজকুমার নহেন, এখন চিনি একজন প্ৰেম-ভক্তির মূৰ্ত্তিমান