পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| अीबांद्र वभव। ENE ইহার কিছু কাল পরেই ঠাকুর মহাশয় শ্ৰীগৌরাঙ্গের লীলাস্থান দর্শন করিবার নিমিত্ত মাতা পিতার নিকট বিদায় মাগিলেন । বাসনা, শ্ৰীনবদ্বীপ, দৰ্শন করিয়া শান্তিপুর ও খড়দহ হইয়া একবারে নীলাচলে যাইবেন । পিতা মাতা, তাহাকে নিষেধ আর কিরূপে করিবেন, কিন্তু সমভিব্যাহারে সাহায্যের নিমিত্ত লোক দিতে চাহিলেন। কিন্তু ঠাকুর মহাশয় তাহা লইলেন না। তীর্থ দর্শনে একাকী, কি দুই একটী बषैौ । সঙ্গী ব্যতীত ঘটা করিয়া যাইতে নাই, ইহা শ্ৰীপ্রভুর আজ্ঞা। কিন্তু */ } সেরূপ তীৰ্থ দৰ্শন এখন আর নাই। " * । ঠাকুর মহাশয় শ্ৰীনবদ্বীপে দ্রুতবেগে গমন করিয়া নগরের প্রান্তভাগে উপস্থিত হইলেন। পথে আর কোথাও কোন পবিত্ৰ স্থান দর্শন করিলেন না। গ্রামের প্রান্তভাগে বৃক্ষতলে বসিয়া নবদ্বীপ পানে চাহিয়া * রোদন করিতে লাগিলেন। “প্ৰভু ! আমাকে নবদ্বীপেক্ষ কেন আনিলে ? আমি এখন কি দেখিতে যাইতেছি? কোথায় তুমি, কোথায় বা তোমার পরিজন, আর কোথায় বা তোমার ভক্তগণ ? হা বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ! আমি যদি আর কিছু কাল পূর্বে আসিতাম, তবে তোমার চরণরেণু পাইতাম। এখন আমি শূন্য নদীয়ায় কি সুখে যাইতেছি?” ইহাই বলিয়া অনেকক্ষণ রোদন করিলেন। যাহারা নরোত্তমেৱ সময়ের লোক, তাহদের পক্ষে শ্ৰীনবদ্বীপ জ্বলন্ত অঙ্গার। বৃন্দাবন দাস, শ্ৰীচৈতন্য ভাগবত গ্রন্থে বারম্বার বলিতেছেন, “পাপিষ্ঠ জনম তখন হইল। না, তাই লীলা দেখিতে পাইলাম না।” বৃন্দাবন দাসের ক্ষোভ এই ষে, digitized at BRCIndia.com