পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভুর নিদর্শন। পণ্ডিত শোকে প্রায় পাগলের भङ श्रेाएछन ঈশান অগ্ৰে শচী - ৩ দেবীর সেবক ছিলেন। পরে তাহার অপ্রকটে শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সেবক হয়েনি। আিম এখন প্রভুর বাড়ীতে আর কেহ নাই, কেবল শূন্য ঘরে তাহারা দুই জনে থাকেন। ঠাকুর মহাশয়ের দশা দেখিয়া সকলেই তাহাকে ঘিরিয়া বসিলেন। পণ্ডিত দামোদর, শুক্লাম্বরের নিকট ঠাকুব মহাশয়ের পরিচয় লইলেন, “নরোত্তম ! আমাদের, দুঃখ ভাবিয়া তোমার দুঃখ স্মরণ করা। বল দেখি, আমরা কি সুখে-বাচিয়া আছি।” ঠাকুর মহাশয় ধুলায় ধুসারিত হইয়া আঙ্গিনায় বসিলেন। হায়! যে স্থান শ্ৰীগৌরাঙ্গের নয়নজলে কর্দমময় থাকিত, যে স্থানে দিবানিশি কৃষ্ণ-কীৰ্ত্তন হইত, যে বাড়ী বেষ্টন করিয়া লক্ষ লক্ষ লোকে হরিধ্বনি করিত, সেই স্থানের আজ এ কি দশা ! ইহা ভাবিতে ভাবিতে ঠাকুর মহাশয়ের হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল। তখন ঈশান ও শুক্লাম্বর 3ाकूद्ध মহাশয়ের আগ্রহে তাহাকে প্রভুর লীলার স্থান ও দ্রব্যগুলি দর্শন করাইতে লাগিলেন। এই পুষ্পবন, এখানে শ্ৰীগৌরাঙ্গ প্রথমে শ্ৰীবাসকে, আলিঙ্গন প্ৰদান করেন। এই ঠাকুরঘর । এই প্রভুর শয়নঘর। এই শচী মাতার শয়নঘর। এই রন্ধনশালা । এই সব প্রভুর পুথি। এই তাহার বসিবার কম্বল। এই প্রভুর পায়ের খড়ম। এই প্রভুর গলার চান্দর। এই প্রভুর পট্টবস্ত্ৰ। এই প্রভুর পায়ের নুপুত্র। এই প্রভুর জলপাত্র। এই প্রভুর পালঙ্ক। এই প্রভুর শষ্যা, উহা আর উঠান হয় নাই, প্ৰভু যে অবস্থায় উহ্য রাখিয়া যান। সেই অবস্থায়ই আছে। দেবী এই পালঙ্কের নিচে ভূমিতলে শয়ন করিতেন। তৎপরে দেবী বিষ্ণুপ্রিয়ার কাহিনী বলিতে লাগিলেন। দেবী এক নূতন পাত্রে তণ্ডুল রাখিয়া, বোল নাম জপ হইলে আর এক নূতন পাত্রে উহা হইতে একটী কুরিয়া তণ্ডুল রাখিতেন। এইরূপে যুক্তগুলি তণ্ডুল হইত, তাহা শ্ৰীগৌ digitized at BRCIndia.com