পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীদেবী। ఆ9 রাঙ্গকে অৰ্পণ করিয়া। আপনি প্ৰসাদ গ্ৰহণ করিতেন। তাহার বাটী প্রাচীরে বেষ্টিত ও সৰ্ব্বদা কপাট দ্বারা আবদ্ধ থাকিত। প্রাচীরে সিঁড়ি ছিল, সেই সিঁড়ি দিয়া উঠিয়া দামোদর পণ্ডিত বাটীর ভিতর জল লইয়া . যাইতেন। দেবী দিবানিশি দাসীগণ পরিবেষ্টিত থাকিতেন, আর দিবানিশি রোদনা করিতেন। তিনি শচীর আদর্শনে আর প্রাচীরের বাহিরে গমন করেন নাই। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর প্রধান সখী কাঞ্চনা, : ব্ৰাহ্মণ কন্যা, তথন আদর্শন হইয়াছেন। ঠাকুর মহাশয় কয়েক দিবস নবদ্বীপে প্রভুর বাড়ীতে থাকিলেন। তাহার দিবানিশি বিহ্বল অবস্থা। রাত্ৰিতে, আর কখন কখন দিবসেও তিনি প্রভুর লীলা স্বপ্নে দেখেন, ও দামোদর ও ঈশানের নিকট প্রভুর লীলা কথা শ্ৰবণ করেন। ক্ৰমে প্রভুর বাড়ীর বাহিরে আসিলেন। শ্ৰীবাসের बांडा,वैडि ও শ্ৰীনিধির সহিত তাহার দেখা হইল। শ্ৰীগৌরাঙ্গের লীলাস্থান সমুদয় দেখিলেন। কোথা শিশুকালে প্ৰভু ক্রীড়া করিতেন, কোথা পড়িতেন, কোথা বসিতেন, কোথা বেড়াইতেন, देडांति शेडार्ति দিবানিশি দেখিয়া দেখিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। দামোদর ও ঈশান তাহার দশা দেখিয়া, তাহাকে শীঘ্র শীঘ্ৰ নীলাচলে যাইতে যত্ন করিতে লাগিলেন। তখন ঠাকুর মহাশয় শ্ৰীপ্রভুর ভক্তগণকে ও প্রভুর বাড়ী প্ৰণাম করিয়া শান্তিপুরে চলিলেন। শান্তিপুরে শ্ৰীঅদ্বৈতের স্থান দর্শন করিয়া অম্বিকায় গেলেন, সেখানে শুষ্ঠামানন্দের গুরু হৃদয়-চৈতন্য ঠাকুরের ওখানে যাইয়া গৌর-নিতাই বিগ্ৰহ দৰ্শন করিলেন । সেখান হইতে উদ্ধারণ দত্তের স্থান ত্ৰিবেণী দর্শন করিয়া খড়দহে গমন করিলেন । তখন শ্ৰীনিতানন্দ প্রভুর সঙ্গোপন হইয়াছে । ঠাকুর মহাশয়ের আগমন শুনিয়া জাহ্নবী গোস্বামী তাহাকে অভ্যস্তরে লইয়া গেলেন। digitized at ERCIndia.com