পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JE নীলাচলে। . বীরভদ্র ও জাহ্নৱী দেৰী, ঠাকুর মহাশয়কে কয়েক দিবস যত্নে ব্রাখিয়া, পরে নীলাচলে যাইতে অনুমতি দিলেন । সেখান হইতে, উদাসীন পথিক অভিরামেৱ স্থান খানাকুল কৃষ্ণনগর দর্শন করিয়া নীলাচলাভিমুখে शुक्लन् । প্ৰভু যে পথে নীলাচলে গিয়াছিলেন, ঠাকুর মহাশয়ও সেই পথে চলিলেন । খড়দহ হইতে সেই পথের কাহিনী সমুদয় লিখিয়া লইয়া গেলেন। যেখানে যে রাত্রি প্ৰভু বাস করেন, ঠাকুর মহাশয় সেই সেই স্থানে বাস করিতে লাগিলেন। যেখানে নিত্যানন্দ প্ৰভু গৌরাঙ্গের দণ্ড ভঙ্গ করেন, সেখানে প্রেমে বিহ্বল হইলেন। যেখানে প্ৰভু প্ৰথমে জগন্নাথের চুড়া দর্শন করিয়া বলিয়াছিলেন, “ঐ দেখ একজন কৃষ্ণবর্ণ * শিশু আমাকে ডাকিতেছেন,’ সেখানে যাইয়া ঠাকুর মহাশয় সেই কথা স্মরণ করিয়া চেতনা শূন্য হইলেন। তাহার পর “ঐ জগন্নাথের চুড়া।” বলিয়া, ঠাকুর মহাশয় দৌড়িলেন । নিকটে গমন করিয়া জগন্নাথ মন্দিরকে প্ৰণাম কারলেন, কিন্তু তখন মধ্যে প্রবেশ করিলেন না। লোক মুখে গোপীনাথাচার্যের বাড়ীর কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। তখন শ্ৰীক্ষেত্র মধ্যে প্রভূর প্রিয় গোপীনাথ গৌড়ীয়গণের প্রধান । গোপীনাথ তখন অবশ্য অতি বৃদ্ধ হইয়াছেন প্রভুর নবদ্বীপ বিহারের নাথকে প্ৰণাম করিলেন । গোপীনাথ শুনিলেন যে নরোত্তম প্ৰণাম গৌরাঙ্গের আকর্ষণে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি বৃন্দাননে গিয়াছিলেন, গ্ৰন্থ চুরি হইয়াছিল, আবার পাওয়া গিয়াছে, এ সংবাদ তখন প্রভুর গণ মাত্রেই অবগত হইয়াছেন । গোপীনাথ নরোত্তমকে হৃদয়ে খারিয়া আলিঙ্গন করিলেন । , digitized at BRCIndia.com সঙ্গী কেবল মাত্র তিনি তখন তথায় আছেন । ঠাকুর - মহাশয় গোপী করিতেছেন, আর তখনি চিনিতে পারিলেন। ঠাকুর মহাশয় যে ।