পাতা:শ্রীমদ্ভগবতগীতা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9o/e এ নিয়মের একটিমাত্র ব্যতিক্রম আছে-আত্মজ্ঞানী নৈষ্কৰ্ম্ম্যের অধিকারী । যত্ত্বাত্মরতিরেব স্যাৎ আত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃআত্মন্তেব চ সম্বুষ্টস্তস্য কাৰ্য্যং ন বিদ্যতে নৈব তস্য রূতেনাৰ্থে নারুতেনেহ কশ্চন ন চাস্য ৰূর্বভুতেষু কশ্চিদৰ্থব্যপাশ্রয়ঃ ৷ চৰাই ১৮ । “আত্মাতেই র্যাহার রতি, যিনি আত্মতৃপ্ত, আত্মাতেই যিনি সন্তুষ্ট তাহার কার্য্য নাই। তঁহার কৰ্ম্মের কোন প্রয়োজন নাই ; cባኛፎ কৰ্ম্ম অকরণেও কোন প্রত্যবায় নাই। সৰ্ব্বভূত মধ্যে তিনি কাহারও আশ্রয়ের সাপেক্ষা রাখেন না।” কিন্তু আত্মজ্ঞানীদের যদিও কৰ্ম্ম নাই, তথাপি গীতা বলেন যে, কৰ্ম্ম না থাকিলেও তাঁহাদের কৰ্ম্ম করা কীৰ্ত্তব্য। কেন না। তাহার কৰ্ম্ম না করিলে তাঁহাদের দেখাদেখি অজ্ঞানেরাও কৰ্ম্ম হইতে বিরত ও ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট হইরে। জনকাদি মহাত্মারা কৰ্ম্মের দ্বারাই জ্ঞান লাভ করিয়াছেন, লোক রক্ষণের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়াও তোমার কৰ্ম্ম করা উচিত, কেন না যে যে কৰ্ম্ম শ্রেষ্ঠ লোকে আচরণ করেন, ইতর লোকেও তাহাই করে। স্বয়ং ভগবান র্যাহার ঐশ্বৰ্য্যের সীমা নাই, যাহার কোন বিষয় অলব্ধ নাই বা লাভ করিবার প্রয়োজন নাই, যিনি আপনার মহিমাতেই আপনি বিরাজ করিতেছেন, তিনিও কৰ্ম্মোদ্যমে নিযুক্ত, কারণ তিনি কৰ্ম্মশূন্য হইলে বিশ্বচরাচর दिभूख्धलाञ्च छिन्न उिछ বিনষ্ট চুইয়া যায়। অতএব কন্মনিষ্ঠ হওয়া সকলেরই কৰ্ত্তব্য। অর্জন জিজ্ঞাসা করিলেন-- এই কৰ্ম্মযোগের অন্তরায় কি ? কে আয়াদিগকে কৰ্ত্তব্য হইতে বলপূর্বক আকর্ষণ করিয়া বিপথে লইয়া যায় ? শ্ৰীকৃষ্ণ উত্তর করিলেন