পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(koV? “ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । LLLL L LLLGLSTSLSSSLSSLSLSSLSLS S SLSLSSSMGLGL LMSMS pa সমীপস্থ্যেহন্যঃ স্বয়মব্যাপৃতোযজ্ঞবিদ্যাকুশলত্বাদৃত্বিগযজমানব্যাপারগুণদোেষাণামীক্ষিতা তদ্বৎ কাৰ্য্যকারণব্যাপারেষু স্বয়মব্যাপৃতােবিলুক্ষণস্তেষাং কাৰ্যকরণানাং স্বব্যাপারাণাং সমীপস্থোদ্রষ্টা ন তু * কৰ্ত্তা পুরুষঃ “স যত্তাত্ৰ কিঞ্চিৎ পশুত্যনম্বাগতস্তেন ভবত্যসঙ্গোহয়ং পুরুষ” ইতি শ্রীতেঃ । অথবা দৃষ্টিযু মধ্যে বাহান দেহাদীনপেক্ষাত্যব্যবহিতোড়ষ্টাত্মা পুরুষ উপদ্ৰষ্টা, উপশব্দন্ত সমীপ্যার্থত্বাত্তম্ভ চাব্যবধানরূপস্য প্ৰত্যাগাত্মন্তেব্য পৰ্য্যবসানাৎ অনুমন্ত চ কাৰ্য্যাকরণ প্ৰবৃত্তিষু স্বয়ম প্রবৃত্তোহপি প্ৰবৃত্ত ইব সন্নিধিমাত্রেণ তদনুকুলত্বাব্দনুমন্ত অথবা স্বব্যাপারেষু প্ৰবৃত্তাদেহেন্দ্ৰিয়াদীর নিবারয়তি কদাচিদপি তৎসাক্ষিভুতঃ পুরুষ ইত্যনুমন্ত “সাক্ষী চেপতি শ্ৰতেঃ । ভৰ্ত্তা দেহেন্দ্ৰিয়মনােবুদীনাং সংহতানাং চৈতন্তাধ্যাসবিশিষ্টানাং স্বসত্তয়া স্ফারণেন চ ধারায়িতা পােষয়িতা চ ভােক্তা বুদ্ধে: সুখদুঃখমােহাত্মকান প্রত্যয়ান স্বরূপচৈতন্তোন প্রকাশয়তীতি নিৰ্বিকার এবােপলন্ধা মহেশ্বরঃ সৰ্ব্বাত্মত্বাৎ স্বতন্ত্ৰত্বাচ্চ মহানীশ্বরশ্চেতি মহেশ্বরঃ পরমাত্মা দেহাদিবুদ্ধ্যন্তানামবিস্তুস্নাত্মত্বেন কল্পিত স্নাং *-’মঃ প্রকৃষ্ট উপদ্ৰষ্টত্বাদিপূৰ্বোক্তবিশেষণবিশিষ্ট আত্মা পরমাত্মা ইতি অনেন শব্দেনাপি উক্তঃ কথিতঃ শ্ৰতীে চকারাদুপদ্রষ্টেত্যাদি শব্দৈরপি স এব। পুরুষঃ পরঃ উত্তমঃ। পুরুষত্ত্বন্যঃ পরমাত্মেত্যুদাহৃত ইত্যগ্রেহপি বক্ষ্যতে || ২২ ৷৷ বং, অংগ৷ ” এই দেহেতে, দেহ, মন, ইন্দ্ৰিয়, অভিমান ও বুদ্ধ্যাদির সহিত যোগ থাকা নিবন্ধনই, সেই প্ৰকৃতির পর পরম পুরুষ, উপদ্ৰষ্টা, অনুমন্ত, ভৰ্ত্তা, ভোক্তা, মহেশ্বর, ও পরমাত্মা * ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়েন। প্ৰকৃতির সহিত যোগ না থাকিলে, তাহার নিজ হইতে এই সকল অবস্থা কদাচ সম্ভবে না ৷৷ ২২ ৷৷

  • যিনি শুয়ং কোন ক্রিয়া করেন না। কিন্তু নিকটে থাকিয়া সাক্ষিস্বরূপে সমস্ত অবলোকন করেন তাঁহাকে “উপদ্ৰষ্টা, বলে। আত্মার নিজের কোন ক্রিয়া নাই, প্রকৃতির দ্বারাই সমস্ত ক্রিয়া নিম্পন্ন হইয়া থাকে, কিন্তু, প্ৰকৃতির সহিত আত্মার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে সংযোগ থাকাতে প্ৰকৃতির সমস্তগুলি ক্রিয়া ও ব্যাপার সেই স্বপ্ৰকাশস্বরূপ আত্মাতে প্ৰকাশ পাইয়া থাকে, তাহাই আত্মার অনুভব করা, সুতরাং আত্মা প্রকৃতির ক্রিয়া সকলের উপদ্ৰষ্ট হইলেন। "

অন্য কর্তৃক নিম্পাদিত কোন কাৰ্য্যেতে প্রতিপক্ষভােব না থাকিয়া যাহার সন্তোষভােব থাকে, তঁহাকেই সেই কাৰ্য্যের “অনুমন্তা” বলা যায়। কিম্বা, পরকর্তৃক নিম্পাদিত কাৰ্য্যেতে নিজে অপ্রবৃত্ত থাকিলেও যদি তাছার আনুকূল্যে প্রবৃত্তি হওয়ার মত পরিলক্ষিত হয় তাহাকেও সেই কাৰ্য্যের অনুমন্ত বলে এবং অন্য কর্তৃক নিম্পাদিত কাৰ্য্যেতে যদি সাক্ষিস্থরূপে থাকিয় তাহাকে নিবারণ না করে, তাহা হইলেও তাঁহাকে ঐ কাৰ্য্যে “অনুমন্তা” বলা যাইতে পারে। দেহ, ইন্দ্ৰিয় ও মন, বুদ্ধি প্রভৃতি প্ৰাকত পদার্থের দ্বারা যে সকল ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয়, তাহাতে আত্মার কোন প্রকার প্রতিপক্ষভাব নাই, কেননা আত্মী নিক্রিয় পদার্থ। নিক্রিয় পদার্থের প্রতিপক্ষতচরণ অসম্ভব। কারণ প্রতিপক্ষতা করিতে হইলে একপ্রকার ক্রিয়া হওয়ার আবশ্যক হয়। আবার দেহেন্দ্ৰিয়াদিদ্বারা যে সকল কাৰ্য্য নিম্পন্ন হয়, তৎসমস্তই স্বপ্ৰকাশ স্বরূপ আত্মাতে প্ৰকাশ পাইয়া থাকে, অর্থাৎ আত্মা তাহার অনুভূতি করেন। তাহাকেই আত্মার একরূপ সন্তোষ বিশেষ বলা যাইতে পারে। অতএব দেহেন্দ্ৰিয়