পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हडौग्न अक्षाङ्क । 한 ു.സാ സം.ും സാ জীবনধাত্রা-নিৰ্ব্বtহার্থও কৰ্ম্ম করিতে হইবে। ঈশ্বরীরাধনা কি সে সকল কৰ্ম্মের উদ্দেশু হইতে পারে ? আমি জীবনযাত্র নিৰ্ব্বাহীর্থ স্নানপান আহার-ব্যায়ামাদি করি, তাহাতে ঈশ্বরীরাধনার কি সম্বন্ধ থাকিতে পারে ? এ কথা বুঝিবার জন্ত, আগে স্থির করিতে হয়, ঈশ্বয়ারাধনা কি ? মনুষ্যের আরাধনা করিতে গেলে, আমরা আরাধ্য ব্যক্তির স্তবস্তুতি করি । কিন্তু ঈশ্বরকে সেরূপ তোষামোদপ্রিয় ক্ষুদ্রচেত। মনে করা যায় না । তাহার স্তবস্তুতি করিলে যদি আমাদের নিজের সুখ কি চিত্তোন্নতি হয়, তবে এরূপ স্তবস্তুতি করার পক্ষে কোন আপত্তিই নাই, এবং এরূপ স্থলে ইহা । অবগু কৰ্ত্তব্য। কিন্তু তাই বলিয়া, ইহাকে প্রকৃত ঈশ্বরীরাধন। বলা যায় না । সেইরূপ, যাহাকে সাধারণত: “যাগ যজ্ঞ” বলে, পুষ্প, চন্দন নৈবেদ্য হোম বলি উৎসব এ সকলও ঈশ্বরারাধন নহে । ঈশ্বরের তুষ্টিসাধন ঈশ্বরীরাধনা বটে, কিন্তু তোষামোজে তাহার তুষ্টিসাধন হইতে পারে না । তাহার অভিপ্রেত কাৰ্য্যের সম্পাদন, তাহার নিয়ম প্রতিপালনই তাহয় তুষ্টিসাধন—তাহাঁই প্রকৃত ঈশ্বরীরাধন । এই তাহার অভিপ্রেত কার্য্যের সম্পাদন ও তাহার নিয়ম প্রতিপালন কাহাকে বলি ? বিষ্ণুপুরাণে প্ৰহলাদ এক কথার এই প্রশ্নের অতি স্বনীর উত্তর দিয়াছেন— “সৰ্ব্বত্র দৈত্যাঃ সমতামুপেত । সমত্বমারাধনমচ্যুতস্ত ॥” সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টিই প্রকৃত ঈশ্বরারাধনা । আমরা ক্রমপঃ ఆ