পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। রাত্ৰিতে শ্ৰীগোপালদেব পুরীজিকে স্বপ্নাদেশ দিলেন যে, বহুদিন মৃত্তিকাতলে প্রোথিত থাকায় তাহার শ্ৰী অঙ্গে অত্যন্ত জ্বালা বোধ হইতেছে, সুতরাং পুরীজি শ্ৰীনিলাচল ধাম হইতে চন্দন আনয়ন করিয়া শ্রীঅঙ্গে লেপন করুন । তাহাতে শ্রীঅঙ্গ শীতল হইবে । পুরীজির নিদ্রাভঙ্গ হইলেই তিনি রামদাস ও নরহরিদাসকে জাগরিত করিলেন এবং বলিলেন যে চন্দন আনয়ন জন্য তিনি নীলাচলে যাইতেছেন। শ্রীগোপালদেবের সেবা সম্বন্ধে তাহাদিগকে তিনি অনেক উপদেশ দিলেন ; বলিলেন তোমরা সযত্নে নিয়মিতভাবে শ্ৰীগোপালের সেবা করিও। যে সমুদয় ভোগের দ্রব্য যোগাড় হইবে তাহা ভোগ দিয়া ব্ৰজবাসিগণকে বিতরণ করিও । কিছু সঞ্চিত রাখিও না। কুন্তন দাস ব্ৰজবাসী সুগায়ক ছিলেন ; তঁাহাকে অনুরোধ করিলেন যেন তিনি প্ৰত্যহ কীৰ্ত্তন গান করিয়া গোপালের প্রীতিবৰ্দ্ধন করেন। ভক্তপ্রবর শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰ গোপালেরই আদেশে এবং গোপালুেরই তুষ্টির নিমিত্ত গোপালকে ছাড়িয়া যাইতেছেন। কিন্তু তাহার প্রাণ যেন গোপালকে ছাড়িয়া অন্যত্ৰ যাইতে চাহিতেছে না । এই প্রকারে ১৫৩৮ সংবতে শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী / শ্ৰীনীলাচলধামে যাত্ৰা করিলেন। তিনি সততই কৃষ্ণপ্রেমে বিভোর ; ক্ষুধা তৃষ্ণা গ্ৰাহ্য করেন না। গোপালের সেবার সস্তার আনয়ন করিবার জন্য পরমানন্দে নিয়তই পথ চলিতেছেন । রজনী সমাগতা হইলে কোথাও বিশ্রাম করেন । এইভাবে চলিতেছেন ; বাহা প্রকৃতির প্রতি তাহার দৃষ্টি নাই। Digitized at BRCIndia.com