পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। Σ Σ. এইরূপে চলিতে চলিতে তিনি বাঙ্গালা দেশে শান্তিপুরে উপস্থিত হইলেন। একটি বৃক্ষতলে বসিয়া প্রেমপুলকিত দেহে শ্ৰীকৃষ্ণনাম কীৰ্ত্তন করিতেছেন। তঁহার অলৌকিক কৃষ্ণপ্ৰেম দেখিয়া বহু ভক্তবৃন্দ তথায় সমবেত হইয়াছেন। অতঃপর শ্রীমৎ অদ্বৈত আচাৰ্য্যপ্ৰভুও তথায় উপস্থিত হইলেন। শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰকে গললগ্নীকৃতবাসে প্ৰণাম করিয়া তাহাকে সযত্নে নিজগৃহে লইয়া। আসিলেন। মাধবেন্দুের পরম বৈরাগা, তিনি কাভু লোকালয়ে গমন করেন না ; কিন্তু তথাপি আচাৰ্য্যপ্রভুর ভক্তিতে বশীভূত হইয়া তাহার গৃহে আগমন করিলেন। এই সময়ে শ্ৰীআচাৰ্য্যপ্ৰভুর বয়ঃক্রম : ৪৬ বৎসর। কারণ ১৪৯২ সংবতে শুক্লা মাঘীসপ্তমী তিথিতে তাহাঁর আবির্ভাব। তখনও তিনি বিবাহ করেন নাই। অনুঢ় থাকিয়াই কৃষ্ণসেবা করিবেন, ইহাই তাহার সংকল্প ৷ ” তখন, উভয়ে কথোপকথন আরম্ভ হইল। আচাৰ্য্যপ্ৰভু পুরীগোস্বামীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “জীবের কৰ্ত্তব্য কি ?” শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰ বলিলেন, “কৃষ্ণসেবাই জীবের কৰ্ত্তব্য। কৃষ্ণসেবার অলৌকিক শক্তি।. ইহার দ্বারা জীব নিত্যভাগবতী গতি লাভ করিতে পারে।” অতঃপর পুরীরাজ বিশাখ। নিৰ্ম্মিত চিত্ৰপট সন্দর্শন করিয়া পরম প্ৰেমাবিষ্ট হইলেন। "তিনি কখনও হাসিতেছেন, কখনও কঁদিতেছেন, কখনও বা নৃত্য করিতেছেন। এইভাবে কিছুক্ষণ গত হওয়ার পর তাহার বাহাম্মুক্তি হইল। Digitized at BRCin dia. Com