পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)\Ն শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। সপরিবারে আসিয়া বল্লভজী পুনরায় অড়েল গ্রামে বাস করেন। এই সময়ে তিনি শ্ৰীমদ্ভাগবতের “সুবোধিনী” নামক টীকা প্ৰণয়ন করিতে লাগিলেন এবং মাধব ভট্ট তাহা লিখিতে লাগিলেন । ( 38 ) ১৫৭২ সংবতে অগ্রহায়ণ মাসে একদা সন্ধ্যার সময় আনোর গ্রামে একব্যক্তি সংবাদ দিল যে পাঠানগণ সেই গ্ৰাম আক্রমণ করিবার জন্য আসিতেছে। গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ পলায়ন করিতে আরম্ভ করিল। শ্ৰীগোপালের গৌড়ীয় পূজারীরাও শ্ৰীগোপালকে গাধুলীগ্রামে জ্বালাহুকুণ্ডের উপরে লইয়া গেলেন। তৎকালে ঐ স্থান নিবিড় বনে আচ্ছন্ন ছিল, বনমধ্যে নিভৃত স্থানে পূজারীগণ গোপালের সেবা চালাইতে লাগিলেন । এই সময়ে শ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যদেব নীলাচল হইতে ব্রজধামে আগমন করিয়াছিলেন। তিনি ভাবিতেছিলেন গোবৰ্দ্ধনগিরির উপরিভাগে উঠিবেন না, সুতরাং শ্ৰীগোপালের দর্শন তিনি কি প্রকারে পাইবেন ? তাহারই অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্যই যেন উক্ত ব্যাপার ঘটিল। মহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য গোপালকুণ্ডের উপরে যাইয়া শ্ৰীগোপালদেবকে দর্শন করিলেন । যাহা হউক, শ্ৰীগোপাল তিন দিবস গোপালকুণ্ডের উপরে রহিলেন। পূজারীরা যখন দেখিলেন যবনগণ আর আসিল না, তখন চতুর্থ দিবসে শ্ৰীগোপালদেবকে তাহারা গোবৰ্দ্ধনগিরির উপরিস্থ মন্দিরে লইয়া গেলেন । শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু পরমানন্দে এই Digitized at BRCIndia.com