পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Byo (১) পৈশুন্ত—খলতা, ধূৰ্ত্ততা । রাজমালা । যার যেই সীমাতে থাকিয়া যুদ্ধ করে। চতুর্থ প্রহর গেল দুৰ্জ্জয় সমরে ॥ চারি দণ্ড বেলা আছে সায়ং সময় । আগে যুদ্ধে নাজিরে পশ্চাতে সৈন্য রয় ॥ যুদ্ধে কালা নাজির নাম সেনাপতি ছিল । নাজিরের নাম শুনি পাঠানে বেড়িল ৷ পৈশুন্যে (১) না করে যুদ্ধ রাজ সেনাগণ । যুদ্ধে পড়িল নাজির এই সে কারণ ॥ যুদ্ধ জয় হৈল বলি পাঠান বর্বর। শ্রান্ত হৈয়া গেল তারা গড়ের ভিতর ॥ বহুতর শ্রান্ত হৈছে ক্ষত হৈছে দেহ। ক্ষুধায় ব্যাকুল পাঠান খাইতে চাহে কেহ ॥ কেহ শান্ত হৈতে আছে কেহ জল খায় । জল পিয়া হস্তী ঘোড়া সকল শান্তীয় ॥ রন্ধনেতে গেছে কেহ খাইতে লাগিছে। হেনকালে ত্রিপুর সৈন্যে মন্ত্রণা করিছে ৷ রাজার পালক পুত্ৰ নাজির পড়িল । কি উত্তর দিবা সবে গজ ভীমে কৈল ॥ যুক্তি করিয়া সৈন্যে করিল নিশ্চয়। সন্ধ্যাকালে কোঠ তলে সুরঙ্গ নিৰ্ম্মায় ॥ হাতে হাতে সুরঙ্গ খনিল সৈন্যগণ । রাজ সৈন্য কোঠে গেল করিবারে রণ ॥ তিন সহস্র ত্রিপুরগণ খড়গ চৰ্ম্ম লৈয়া । কাটয়ে পাঠান সৈন্য কোঠে প্রবেশিয়া ॥ ভঙ্গ দিল পাঠান অনেক মারা গেল । মাতৃ সমে মমারক খা গড়ে লুকাইল ॥ লুকাইয়া রহে গড়ে প্রাচীর উপর। চারি পাশ্বে ত্রিপুর সৈন্যে বলে ধর ধর । ( } পূৰ্ব্ব প্রেরিত সেনাপতিগণ পরাজিত হওয়ায়, মহারাজ কোপান্বিত হইয়া, তাহাদিগকে স্থত। কাটিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহাৰ্থ চরখা উপহার দিয়া ছিলেন, এবং কালা নাজিরকে তাহাদের নায়ক করিয়া পাঠাই ছিলেন। এজন্ত সেনাপতিগণ ধূৰ্ত্ততা করিয়া যুদ্ধ কুরে নাই ।