পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●& রাজমালা । [ क्ऊिँौब्र দেবতা সাক্ষাতে নিয়া উৎসৰ্গিয়া দিল । যে মত বিধান ছিল তে মত করিল ৷ হৃদয় ফাড়িতে তার দেখে গুরুতর । সোণার পুতুল এক হৃদয় ভিতর ॥ অপূৰ্ব্ব দেখি চন্তাই দেখায়ে রাজারে । লক্ষী চিন্তু বলি নৃপ রাখিল অন্তরে ॥ সপ্ত দিন পরে আইসে গৌড়েশ্বর লিখা । মমারক খ ছাড়ি দেও তুমি আমার সখ ॥ পদ্মা অবধি করি যাত্রাপুর (১) দেশ । সীমানা করি দিব রাজ্য তোমাকে বিশেষ ॥ পত্র শুনিয়া রাজা হইয়া বিস্মিত । চন্তাই গঞ্জিল রাজা সভার বিদিত ॥ মমারক থাকে দিত যদি হৈত গৌড় বশ । তুমি চন্তাই করিলা যে আমা অপযশ ॥ নৃপে বলে চিন্তিয় যে নহে কিছু কাজ । খায়ের মরণ বার্তা লিখে মহারাজ ॥ কনক রচিত পত্র (২) বিশ্বাসে লিখিল (৩) । নৃপ পত্র শুনি গৌড় উত্থিত হইল ॥ পুনর্বার বাদসায়ে দূতকে পাঠায়ে। দিল্লী সৈন্য সঙ্গে করি আসিব ত্বরায়ে ॥ পরিবার সমে সাহা আসে ত্রিপুরাতে । দূতে কহে বাদসায় বলিল যে মতে ॥ (১) যাত্রাপুর-ইছামতীর তীরবর্তী স্থান বিশেষ । (২) পুরাকালে পত্র রঞ্জিত করিবার নিয়ম ছিল। সুবর্ণ দ্বারা রঞ্জিত পত্র উত্তম, রৌপ্য রঞ্জিত পত্র মধ্যম এবং রঙ্গাদি দ্বারা রঞ্জিত হইলে তাহ অধৰ্ম পত্র বলিয়া গণ্য হইত। এতদ্বিষয়ে বররুচির মত এই ;– “সুবর্ণ রুপ রঙ্গস্তৈরঞ্জয়েৎ পত্ৰমুত্তমং। সামান্তোত্তম মধ্যানাং পত্ররঞ্জসমীরিতম্ ॥” বররুচিকৃত পত্র কৌমুদী। (৩) রাজার পত্র লেখক নির্দিষ্ট কৰ্ম্মচারী থাকিত, পত্র কৌমুদী আলোচনায় ইহা পাওয়া যায়। ত্রিপুর রাজ্যেও এই নিয়ম প্রচলিত ছিল। রাজ দরবাক্টের পত্র লেখক ‘বিশ্বাস ও “পত্রনবীস’ ইত্যাদি উপাধি লাভ করিতেন ।