পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

钟发 রাজমালা । f [ दिडौघ्र মহামাণিক্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র ধৰ্ম্ম-পরায়ণ মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য রাজ্যলাভের পূর্বে ब्रांजकूमां८ब्रब्र সন্ন্যাসীবেশে দীর্ঘকাল নানা তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া বিস্তর পুণ্য ও সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ। জ্ঞান অর্জন করিয়াছিলেন। মহামাণিক্যের পরলোকগমনের পর, তিনি সিংহাসনারূঢ় হইয়া ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিলেন। ইনি কৌতুকাদি আট জন ব্রাহ্মণকে বারাণসী ধাম হইতে সঙ্গে আনিয়াছিলেন। সমাগত বিপ্রাষ্টকের মধ্যে কৌতুক কাস্যকুজ দেশীয় ছিলেন । অপর সাত জন ব্রাহ্মণের পরিচয় বর্তমান কালে দুষ্প্রাপ্য। 曾 ধৰ্ম্মমাণিক্য ধৰ্ম্মভাব প্রণোদিত হইয়া কুমিল্লায়, কৈলারগড়ে (কসবায় ) এবং sদশ খনন ও উদয়পুরে ‘ধৰ্ম্মসাগর’ নামক তিনটা সরোবর খনন করাইয়াছিলেন, স্থনি নি। তন্মধ্যে কুমিল্লা নগরীতে অবস্থিত সুবিশাল বাপীই বিশেষ বিখ্যাত। এই সরোবর প্রতিষ্ঠাকালে মহারাজ ব্রাহ্মণদিগকে শস্যপূর্ণ উনত্রিংশ ত্রোণ ভূমি ঃ তাম্রশাসন দ্বারা দান করিয়াছিলেন। এই দান সম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে ;— “পরকাল চিন্তি রাজা চিত্ত শাস্তাইল । ভূমি দান করিবারে ব্রাহ্মণ আনিল। ধৰ্ম্মসাগর নামেতে জলাশয় দিয়া । তার চারি পারে সব দ্বিজ বসাইয়া ॥ মহাবিষুবেতে দিল ভূমি উৎসৰ্গিয় । কৌতুকাদি বাণেশ্বর ব্রাহ্মণ অৰ্চিয় ॥ কৌতুকাদি ব্রাহ্মণেতে করে ভূমি দান ॥ তাম্রপত্রে লিখি দিল বচন প্রমাণ ॥” ধৰ্ম্মমাণিক্য থও,—৫ পৃঃ । সংস্কৃত রাজমালায় লিখিত আছে, আটজন ব্রাহ্মণকে ভূমি দান করা নেপিতে হইয়াছিল। তন্মধ্যে কৌতুক ও বাণেশ্বরের নাম রাজমালায় তাম্রশাসন পাওয়া যায়। কৌতুক কান্যকুব্জবাসী, ইনি বারাণসী ধাম হইতে ধৰ্ম্মমাণিক্যের সঙ্গে আসিয়াছিলেন, এ কথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। বাণেশ্বর রাজমালা প্রথম লহরের রচয়িত, ইনি ত্রিপুর দরবারের রাজপণ্ডিত ও রাজপুরোহিত ছিলেন, রাজমালা প্রথম লহরের টীকায় ইহার বিবরণ প্রদান করা হইয়াছে। দান প্রতিগ্রাহী অপর ছয় জন বিপ্রের নাম পাওয়া যাইতেছে না। তাম্রফলকেও সকল • আট হস্ত পরিমিত নলকে চারি পণ ধরিয়া ত্রিপুর রাজ্যে ভূমি পরিমাপ হইয়া থাকে। ভূমির পরিমাণ সম্বন্ধীর আর্য্যা এই ;–২• ঘুরে—১ ক্রান্ত । ৩ ক্রাস্তিতে—১ কড়া। ৪ কড়ায়— ১গও । ২৯ গণ্ডায়—১ কাণি । ১৬ কাণিতে—১ দ্ৰোণ । .题 ত্রিপুরেশ্বরের জমিদারী বিভাগেও এই নিয়মে ভূমি পরিমাপ হইয়া থাকে। এই প্রণালীতে পরিমিত কাণিকে ‘তিপরাই কাণি' বলে। ..I §