পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর ] মধ্য-মণি । Y erot উনকোটী তীর্থ। এই স্থান কৈলাসহর বিভাগের অন্তর্গত এবং কৈলাসহর বিভাগীয় অফিস s.ap n.a. হইতে প্রায় তিন ক্রেশ দূরবর্তী পূর্বদিকস্থ পর্বর্বতের সামুদেশে 기 1 অবস্থিত। এই পর্বত উনকোটা শৈলের একটা শৃঙ্গ। এই স্থানে যাইবার পথ দুর্গম হইলেও অতি মনোরম। অধিকাংশ স্থলে ক্ষীণ-সলিলা পৰ্ববত নিঝরিণীর মধ্য দিয়া চলিতে হয়, মধ্যে মধ্যে পৰ্ব্বলতে আরোহণ এবং অবরোহণেরও প্রয়োজন হইয়া থাকে । এই নিবারণীর উপরিভাগ বৃক্ষ এবং পর্বতজাত বাঁশের পাতায় সমাচ্ছন্ন থাকায়, সমগ্র পথ প্রকৃতির নিভৃত রম্যকুঞ্জে পরিণত হইয়াছে ! এই রাস্তটা আমাদের পরিচিত। কৈলাসহরের ভূতপূর্ব ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টর স্বৰ্গীয় হেমকুমার চৌধুরী মহাশয় কর্তৃক অপেক্ষাকৃত সহজ এবং সুগম আর একটী রাস্ত নিৰ্ম্মিত হইবার কথা শুনিয়াছি, সেই পথ অদ্যপি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় নাই। উনকোটী একটা প্রাচীন তীর্থ স্থান । কতকাল যাবত এই স্থান পবিত্রearn naং ক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে, তাহ নির্ণয় করা সুকঠিন। রাজমালা প্রাচীনত্ব । আলোচনায় জানা যায়, বহু প্রাচীনকালে বিমারের পুত্র মহারাজ কুমার এই তীর্থে যাইয়। শিবারাধনা করিয়াছিলেন । তদনন্তর প্রার চারিশত বৎসর পুর্বে মহারাজ বিজয়মাণিক্য উনকেট তীর্থ গমন করিয়াছিলেন । * তৎপর মহারাজ অমরমাণিক্যের পুত্র রাজধর দেব উনকোটতে যাইবার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইহাও কিঞ্চিদধিক তিন শত বৎসরের কথা। ণ ‘উনকোট মাহাত্ম্য’ নামক হস্ত লিখিত পুস্তিকা আলোচনা করিলে এই তীর্থের প্রাচীনত্বের কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে । উক্ত গ্রন্থে লিখিত আছে ;– “বিন্ধ্যান্দ্ৰেঃ পাদসস্তুতো বরবক্রঃ সুপুণ্যদঃ। দক্ষিনস্তাং নদস্তাস্ত পুণ্য মনুনদীস্মৃত ॥

  • “কত দিন পরে রাজা উনকোট গেল ।

এক উনকোটী লিঙ্গ তথাতে দেখিল ৷” বিজয়মাণিক্য খণ্ড । + “রাজধর চলিল দুলালীগ্রাম পথে । ইটাগ্রাম হৈয়া চলে উনকোটী তীর্থে। স্নান দান করে তথা রাজধর নারায়ণ । উদয়পুর চলিলেক করি শুভক্ষণ ॥” অমরমাণিক্য খণ্ড । অতঃপর মহারাজ রাধাকিশোরমাণিক্য ১৩১৩ ত্রিপুরাব্দে এই তীর্থে গমন কৰুিয়াছিলেন, তাহ ২ বৎসর পূর্বের কথা। অল্পকাল পূৰ্ব্বে, পঞ্চশ্ৰীযুক্ত মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর মাণিক বাহাদুরও এই তীর্থ দর্শন করিয়াছেন ।