পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जङ्ख्न ] মধ্য-মণি । S bo মিথিলাবাসী, ব্রাহ্মণ জাতীয় লক্ষীনারায়ণ নামক ব্যক্তি—ইন্দ্রমাণিক্যকে সাক্ষীগোপাল রাজা করিয়া স্বয়ং রাজ্যশাসন আরম্ভ করেন । এই সময় তিনি আড়াই শত মৈথিল যোদ্ধা ত্রিপুরার সৈনিক বিভাগে প্রবেশ করাইয়াছিলেন । ৫ মহারাজ বিজয়ের আর এক অস্তুত কাৰ্য্যের নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি sanga অভিনন্দ জয়ন্তিয়াপতির প্রতি রুষ্ট হইয়া, তাহাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত ইড়ি সৈন্ত । করিবার অভিপ্রায়ে দ্বাদশ সহস্ৰ হাড়ি জাতীয় লোকদ্বারা এক সৈনিক দল গঠন করিয়া জয়স্তিয়া রাজ্যে প্রেরণ করিয়াছিলেন । " তদবধি হাড়িগণও সৈনিক বিভাগের অন্তভূক্ত হয়। ইহারা লাঠিয়াল শ্রেণীর লোক ছিল । এতদ্বিষয়ক বিস্তৃত বিবরণ অতঃপর বর্ণিত হইবে । সেনানায়ক । পূর্বকালের স্যায় এই সময় ভ্রাতা অথবা জামাতাকে সেনাপতি করিবার সেনানায়ক নিপgন বাধার্বাধি নিয়ম না থাকিলেও, সাধারণতঃ রাজার আত্মীয়কে প্রধান *" | সেনাপতি করা হইত। ধন্যমাণিক্য স্বীয় শ্বশুর দৈত্য নারায়ণকে প্রধান সেনাপতির পদ প্রদান করেন । অনন্তমণিক্যের প্রধান সেনাপতি গোপীপ্রসাদ নারায়ণ র্তাহার শ্বশুর ছিলেন । উদয়মাণিক্য স্বীয় ভগ্নিপতি রণাগণ নারায়ণকে প্রধান সেনাপতি পদে নিয়োগ করিবার প্রমাণ রাজমালায় পাওয়া যায় । জয়মাণিক্যের কালেও তিনিই প্রধান সেনাপতি ছিলেন । ইহার পরবর্তী কালে রাজপুত্রদিগকে সেনাপতি করিবারও প্রমাণ বিদ্যমান রহিয়াছে।

  • “এই মতে বৎসরেক ব্রাহ্মণে শাসয় ।

আড়াই শত যোদ্ধা আনি মিথিলা রাখয় ॥* ইন্দ্রমাণিক্য খণ্ড,—৩৭ পৃঃ ।

  • ছাড়িগণের যুদ্ধ যাত্রার কিঞ্চিৎ আভাস নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে ;–

“স্বাদশ হাজার হাড়ি হাতে কোদাল লৈয়া । হাড়িতে ডগর বাদ্য চলে বাজাইয়া ॥ চারি মাস হাড়ি সৈন্তে পাইয়া বেতন । মদ্য শূকর খাইয়া করিলেক রণ ॥ ঘুর ঘুরি শব্দ করি ডগর বাজায় । সাজনি সাজিয়া সব হাড়ি সৈন্ত যায় ॥ 光 光 最 来 ঢেমস ডগর বাজে নাচে উৰ্দ্ধ, হাতে । শূকর খেদান লাঠি পাকাইয়া মাথে ॥” ইত্যাদি । বিজয়মাণিক্য খও,– ৪ পৃঃ । *)\n