পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } মধ্য-মণি । S)○。 রণ-কৌশল। ত্রিপুর বাহিনী কোন কোন সময় অদ্ভুত রণ-কৌশল প্রদর্শন করিয়াছে। মহারাজ ধন্ত্যমাণিক্যের সেনাপতি রায়কাচাগ সর্ববাপেক্ষা অধিক কৌশলী ছিলেন। তিনি আট মাসের চেষ্টায়ও থানাংছি নামক উত্তঙ্গ পর্বত শৃঙ্গস্থিত কুকিগণের স্বরক্ষিত দুর্গ অধিকার করিতে অসমর্থ হইয়। নিতান্ত ব্যাকুল হইলেন। সেই দুর্লঙ্ঘ্য পৰ্ব্বতারোহণের উপায় উদ্ভাবন অসন্তৰ মনে করিয়া, তিনি দিন দিন ভগ্নোৎসাহ হইতেছিলেন । এই সময় একটা সুবৃহৎ গোধিক তাহার দৃষ্ট্রিপথে পতিত হইল, এবং সেই গো-সপই তাহার অভীষ্ট সিদ্ধির একমাত্র উপায় বলিয়া স্থির করিলেন। গোধিকার কটিদেশে বেত্র বন্ধন করিয়া তাহাকে পৰ্ব্বতে চড়াইয়া দিলেন। গোসাপট ক্রমে পৰ্ব্বতের উপরে উঠতে লাগিল, এদিকে ক্রমান্বয়ে সুদীর্ঘ বেত্র যোজনা করা হইতেছিল। গোধিক পবর্বতের সামুদেশে আরোহণ করিবার পর হস্তস্থিত বেত্র টানিয়া দেখা হইল, তাহ বিশেষ দৃঢ় হইয়াছে। অতঃপর রাত্রিকালে, সেই বেত্র অবলম্বন করিয়া, সৈন্যগণ একে একে পর্বতারোহণ করিল এবং অকস্মাৎ কুকিদিগকে আক্রমণ করিয়া অল্পায়াসেই দুর্গ জয় করিতে সমর্থ হইল । ত্রিপুরা আক্রমণের নিমিত্ত হোসেন সাহ, গৌরমল্লিক নামক সেনাপতিকে প্রেরণ হোসেন সাহের পরাজয় করিয়াছিলেন । র্তাহার সৈন্যদল গোমতী নদীপথে আগমন পূর্বক বিবর" | ত্রিপুরেশ্বর ধন্যমাণিক্যের মেহেরকুল গড় আক্রমণ ও জয় করিয়া রাজধানী আক্রমণের নিমিত্ত বিজয়োল্লাসে যাত্রা করিল, একথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। তাহাদের নৌ-বাহিনী গোমতীর বক্ষ আচ্ছাদন করিয়া রাঙ্গামাটির (উদয়পুর) দিকে চলিল। ত্রিপুর সেনানায়ক রায়কাচাগ উপায়ান্তর না দেখিয়া, স্বীয় উদ্ভাবনী কৌশল অবলম্বনে, গোমতী নদীর উপরিভাগে (উজানে) সুদৃঢ় বাধ প্রস্তুত করিলেন। পার্বত্য নদী একমাত্র পৰ্ব্বত নিঃস্থত জলধারা দ্বারা একটানা স্রোতে প্রবাহিত হইয়া থাকে । নদীতে বঁধ দেওয়ায় স্রোত বন্ধ হইয়া বাধের নিম্নভাগ শুষ্ক হইয়া গেল এবং উপরিভাগের জল স্ফীত হইয়া উঠিল। পাঠানগণের অগণিত নৌকা গোমতীর বালুকাময় ৰক্ষে আবদ্ধ হওয়ায়, সৈন্যগণ মধ্যে অনেকে নৌকা ছাড়িয়া চড়ায় শিবির স্থাপন করিল। এইভাবে তিন দিবস অতীত হইয়া গেল। চতুর্থ দিবস রাত্রিতে বাধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ায়, আবদ্ধ জলরাশি সশব্দে প্রবলবেগে আসিয়া মুসলমানগণের উপর পড়িল । তাহারা নিশ্চিন্তমনে নিদ্রা যাইতেছিল,—আত্মরক্ষার অবসর ঘটিল না । তাহাদের নৌ-বহর, সৈন্যদল, যুদ্ধ-সরঞ্জাম সমস্তই প্রবল স্রোতে ভাসিয়া গেল। এই ঘটনায় আত্মরক্ষা করাই সেনাপতি গৌরমল্লিকের পক্ষে কঠিন হইয়া দাড়াইয়াছিল । তিনি হতাবশিষ্ট অল্প সংখ্যক সৈন্ত লইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হইলেন । র্তাহার পরিত্যক্ত হস্তী, ঘোড়া এবং নানাবিধ বস্তু ত্রিপুর সৈন্যগণের হস্তগত इ३ठन । >切ー थान|१ष्ठेि छूर्श छग्न ।