পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$రి রাজমালা । [ विडीौत्र গৌড়েশ্বর হোসেন সাহের এই পরাজয়-কলঙ্ক অসহনীয় হইল, তিনি পুনর্বার anল নহ নিগম হৈতন খাঁ ও করা খা নামক সেনাপতিদ্বয়ের অধিনায়কত্বে বার পরাজয় । বিপুল-বাহিনী ত্রিপুরা আক্রমণের নিমিত্ত প্রেরণ করিলেন। এই অভিযানে একশত হস্তী, পঞ্চ সহস্ৰ ঘোটক ও এক লক্ষ পদাতিক সৈন্য ছিল । এতদ্ব্যতীত দ্বাদশ বাঙ্গালার (বার ভূঞাগণের) প্রদত্ত সৈন্যগণও এই অভিযানে যোগদান করিয়াছিল । * পাঠান সেনানী, জামিরখ গড় ও ছয়ঘরিয়া গড় জয় করিয়া ডোমঘাটিতে যাইয়া ছাউনী করিলেন। এই সময় ত্রিপুর সৈন্যগণ, পর্বতজাত বিষলতা ফেলিয়া গোমতীর জল বিষাক্ত করিয়াছিল। ৭ সেই জল পান করিয়া মুসলমানগণের মধ্যে দুই চারিজনের মৃত্যু হইবার পরেই তাহারা ত্রিপুর সৈম্ভের ষড়যন্ত্র বুঝিতে পারিল। এবং জল পানের নিমিত্ত দুই প্রহরের মধ্যে এক দীর্ঘিকা খনন করিয়া লইল । এই জলাশয় মুসলমানগণের খনিত বলিয়া "তুরুক দীঘি নামে অভিহিত হইয়াছে। ইহা দেবমাণিক্য কর্তৃক পুনঃ সংস্কৃত হইয়াছিল ; তাহার অস্তিত্ব অদ্যাপি বিদ্যমান আছে । এইবারও ত্রিপুর সেনাপতি রায়কাচাগ পূর্ব পন্থা অবলম্বন করিয়াছিলেন। গোমতী নদীতে বাধ দিয়া তাহার উপরিভাগে জল আবদ্ধ করিলেন ; এই বঁধ সাত দিবস রাখা হইয়াছিল। পাঠানগণ পূর্ব কথা স্মরণ করিয়া প্রথমতঃ নদীগর্ভে নামিতে সাহসী হইল না ; যখন দেখা গেল, দীর্ঘকাল নদীর অবস্থা একরূপই আছে, তখন পার্বত্য উচ্চনীচ পথ অপেক্ষা, শুষ্ক নদী পথ সুগম ও বিশেষ সুবিধাজনক মনে করিয়া, তাহারা রাত্রিকালে গোপনে নদী পথ ধরিয়া পদব্রজে অগ্রসর হইতে লাগিল। এ দিকে ত্রিপুর সৈন্য অন্তরালে থাকিয় তাহাদের কার্য্যকলাপ লক্ষ্য করিতেছিল। মুসলমানগণ নদীগর্ভে নামিয়া আরামের সহিত উজানের দিকে যাইবার কালে, নদীর বাঁধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ায়, এক সপ্তাহের সঞ্চিত বারিরাশি প্রবল বেগে আসিয়া তাহদের উপর পড়িল । সেই প্রবল স্রোতের সঙ্গে সহস্ৰ সহস্ৰ ভেলা ভাসিয়া আসিতেছিল, প্রত্যেক ভেলায় মনুষ্যাকৃতি তিনটা করিয়া পুতুল এবং প্রত্যেক পুতুলের হাতে প্রজ্জ্বলিত মশাল ছিল। মুসলমানগণ নদীবেগ হইতে আত্মরক্ষা লইয়াই বিব্রত হইয়া পড়িয়াছিল, ইহার উপর আবার মশাল হস্তে

  • “একশত হস্তী পঞ্চ সহস্ৰ ঘোটক ।

লক্ষৈক পদাতি চলে ধামুকী কটক ॥ দ্বাদশ বাঙ্গালা চলে হৈতন খ সহিতে।” ধন্ত মাণিক্য থও-২৫ পৃঃ । + বিষলতার উৎপত্তি সম্বন্ধীর প্রবাদ বাক্য অতঃপর প্রদান করা হইবে।