পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う86 রাজমালা । { দ্বিতীয় মহারাজ ধন্য, উচ্ছ থল সেনাপতিবৃন্দকে নিধন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। বিজয়মাণিক্য স্বীয় শ্বশুর ও প্রধান সেনাপতি দৈত্য নারায়ণকে বধ করিয়া, শাসনযন্ত্র নিরাপদ করিয়াছিলেন। বৃদ্ধ সেনাপতি রণাগণের রাজ্যলাভের দারুণ পিপাসা অমরদেবের অস্ত্রমুখে প্রশমিত হইয়াছিল। মহারাজ দেবমাণিক্য স্বীয় দীক্ষাগুরুর প্ররোচনায় তান্ত্রিক সাধনায় সিদ্ধি লাভের অভিলাষে ক্রমান্বয়ে আটজন সেনাপতি বলি প্রদান করিয়াছিলেন । এই হত্যাকাণ্ড সেনাপতিগণের দোষজনিত নহে, রাজার ধৰ্ম্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসের ফলেই এবম্বিধ বীভৎস অভিনয় হইয়াছিল। উদ্ধত ও ষড়যন্ত্রকারী সেনাপতিগণের দুৰ্গতি ঘটিবার দৃষ্টান্ত অন্যত্রও বিরল নহে। ১৮২৬ খৃঃ অব্দে তুরস্ক সাম্রাজ্যের জেনিজারি সৈন্যদলের এই অবস্থা ঘটিয়াছিল । ৫ দুর্গ ও সেনানিবাস। রাজমালা দ্বিতীয় লহরের অন্তভূর্ত সময়ে অনেকগুলি দুর্গ ও সেনানিবাস ছিল। তন্মধ্যে মেহেরকুল দুর্গ, চণ্ডীগড়, কৈলারগড়, বিশালগড়, জামিরখাগড়, ছয়ঘরিয়া বা সুগরিয়াগড়, যশপুরগড়, গাস্তারী বা গামারিয়াগড় ও সংরাইশগড়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই সকল দুর্গের অবস্থানের বিবরণ অতঃপর প্রদান করা যাইবে ; রাজধানীর সন্নিহিত চতুষ্পশ্বে দুর্গগুলি অবস্থিত ছিল। এতদ্ব্যতীত দূরবর্তী নানাস্থানেও সেনানিবাস থাকিবার পরিচয় পাওয়া যায়, এতদ্বিষয়ক কিঞ্চিৎ আভাস নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে — দুর্গসমূহের নাম । “ধত সব সেনাপতি যুদ্ধের কারণ। থানায় থানায় সবে করে নিয়োজন ॥ দক্ষিণ দিকে চট্টগ্রাম এক থানা হয় । দশ সেনাপতি তথা নিয়োগ করয় ॥ শ্ৰীহট্টে উত্তর থানা বড়ই ভীষণ । সেই থানায় সেনাপতি রহে বিশ জন ॥ কলাকোপ পদ্মার পারে পশ্চিমের থানা । সেই থানায় সেনাপতি রহে চল্লিশ জনা ॥

  • এতৎসম্বন্ধে রেভারেও জেমস লঙ সাহেব বলিয়াছেন ;–

“The fate of these Generals, in the penalty they suffered for their imperious and intriguing conduct, resembled that of the janizzaries of the Turkish Empire who were cut off at a stroke in 1826; like them and the Mamalukes of Egypt, these Generals appear to have been always more or less involved in political intrigues.” J. A. S. B.-Vol. XIX,