ta রাজমালা । [ दिटीब्र মুসলমান এবং মঘ কর্তৃক ত্রিপুররাজ্য বারম্বার আক্রান্ত হইয়াছে। ত্রিপুরেশ্বরগণ কেবল সেই সকল আক্রমণ হইতে রাজ্য ও রাজধানী রক্ষা করিয়া ক্ষান্ত হইতেন না, তাহারা অরাতিগণের রাজ্যের কিয়দংশ অধিকার করিয়া আক্রমণের প্রতিশোধ প্রদান করিতে সৰ্ব্বদাই সচেষ্ট ছিলেন । রাজ্য বিস্তার। মহারাজ ধন্ত্যমাণিক্য রাজ্যের সীমা প্রসারিত করিবার নিমিত্ত বিশেষ যত্নবান মgas gমণিক্যের হইয়াছিলেন। তিনি মেহেরকুল, পাটিকারা, গঙ্গামণ্ডল, বগাসাইর, কার্য্য । বেজুরা, ভামুগাছ, বিষ্ণাজুরি (বিষ্ণাউড়ি ) লঙ্গলা এবং বরদাখাত প্রভৃতি রাজ্যের সীমান্তবৰ্ত্তী স্থান সমূহ বঙ্গের শাসনতন্ত্র হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া, স্বীয় অধিকারে আনিয়াছিলেন। এই সকল স্থানের মধ্যে কোন কোন স্থান পূর্ববৰ্ত্তা রাজগণের শাসনকালে ত্রিপুরার হস্তচু্যত হইয়াছিল, মহারাজ ধন্যমাণিক্য পুনর্ববার সেই ক্ষতি উদ্ধার করেন। খণ্ডল প্রদেশ অধিকার কালে মহারাজকে কিঞ্চিৎ আয়াস স্বীকার করিতে হইয়া থাকিলেও পরিশেষে সেই প্রদেশ ত্রিপুরবাহিনী কর্তৃক বিশেষভাবে বিধ্বস্ত হইয়াছিল ৷ তদেশবাসী জনসাধারণের এমন দুরবস্থা ঘটিয়াছিল যে, বৃক্ষপত্র ব্যতীত তাহদের পরিধানের অন্য সম্বল ছিল না ; তদ্বিবরণ ইতিপূর্বে বিশেষভাবে বিবৃত হইয়াছে। ইহার পর ধন্যমাণিক্য, থানাংচি রাজ্য এবং সমগ্র কুকি প্রদেশ জয় করিয়া রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব সীমা প্রসারিত করিয়াছিলেন। ১৪৩৫ শকে (১৫১৩ খৃঃ), গৌড়েশ্বর হোসেন সাহের সৈন্যদলকে বিতাড়িত করিয়া ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম অধিকার করেন। ই হার শাসনকালে, অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হোসেন সাহ বারম্বার প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও সেই ক্ষতি উদ্ধার করিতে সমর্থ হন নাই। একবার কিয়ৎকালের নিমিত্ত চট্টগ্রাম হস্তান্তরিত হইয়া থাকিলেও ১৪৩৭ শকে ( ১৫১৫ খৃঃ ) ধন্যমাণিক্য আবার তাহ পাঠানের কবল হইতে উদ্ধার করিয়াছিলেন । তৃতীয় বারের যুদ্ধে রাজ্যের কিয়দংশ হোসেন সাহের হস্তগত হইয়াছিল, তাহার পরিমাণ অতি সামান্ত । ধন্যমাণিক্যের পুত্র দেবমাণিক্য ভুলুয়ারাজ্যসহ দক্ষিণে সমুদ্রতীর পর্য্যন্ত নংata arমনিকের জয় করিয়াছিলেন। তৎকালে চট্টগ্রাম, তাহারই হস্তগত কাৰ্য্য । ছিল । দেবমাণিক্যের পুত্র মহারাজ বিজয়মাণিক্য খাসিয়া রাজ্যের কিয়দংশ এবং শ্ৰীহট্ট asur Ra প্রভৃতি রাজ্যের উত্তর প্রান্তস্থিত দেশ সমূহ জয় করিয়াছিলেন। মাণিক্যের কাব্য। এই সময় পাঠানগণ পুনর্বার চট্টগ্রাম আক্রমণ করায়, ক্রমান্বয়ে আট মাস যুদ্ধের পর মহারাজ বিজয়কর্তৃক প্রতিপক্ষগণ বিশেষভাবে পরাজিত হয়। এই যুদ্ধ গৌড়েশ্বর সুলতান সুলেমান কররাণির সঙ্গে হুইয়াছিল।
