পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় { | | ه نه ؤ সদ্ব্যবহার করিয়ছিলেন। পরিশেষে রাজজ্ঞানুসারে বসিকগণ একদিবস দরবারে উপস্থিত হইলে, মহারাজের ইঙ্গিতমতে সৈন্যগণ তাহদের মস্তকছেদন করিল। অতঃপর মহারাজ ধন্য স্বয়ং খণ্ডলে যাইয়া সেই প্রদেশ সম্পূর্ণরূপে বশীভূত করিয়াছিলেন । * মহারাজ বিজয়মাণিক্য যেমন বীর, তেমনি রাজনীতি-কুশল নরপতি ছিলেন । Runnai, তাহার প্রগাঢ় কূটনীতির একটা জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত সন্দর্শনে অনেকেই অবলম্বিত নীতি। বিস্মিত এবং স্তস্তিত হইয়াছেন। তৎসম্বন্ধীয় স্কুল বিবরণ নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে। পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে, মহারাজ বিজয়ের শ্ৰীহট্ট জয় কালে, তৎপাশ্ববর্তী an, a, জয়স্তিয়ারাজ ভীত হইয়া, ত্রিপুরেশ্বরের সহিত প্রীতি স্থাপনার্থ অসত্য ব্যবহার । নানাবিধ উপঢৌকন সহ তাহার রাজধানীতে উপস্থিত হইয়া বশুত স্বীকার করিয়াছিলেন । মহারাজ বিজয়, জয়ন্তিয়াপতির এই ব্যবহারে প্রীত হইয়৷ র্তাহাকে কতিপয় হস্তী উপহার প্রদান করেন। জয়ন্তিয়ারাজ স্বরাজ্যে যাইয়া প্রচার করিলেন—“ত্রিপুরেশ্বর ভীত হইয়া আমাকে হস্তী উপঢৌকন প্রদান করিয়াছেন।” অল্পকাল মধ্যেই এই সংবাদ মহারাজ বিজয়ের কর্ণগোচর হুইল । তিনি ১৯. জয়স্তিয়াপতির অসঙ্গত স্পৰ্দ্ধার কথা শুনিয়া কোপস্থিত হইলেন, জয়ন্তিয় অভিযান । এবং তঁহাকে ধৃত করিয়া ত্যানিবার নিমিত্ত দ্বাদশ সহস্ৰ চড়ি জাতীয় সৈন্য প্রেরণ করিলেন । ছবিলের প্রতি অস্ত্র প্রয়োগ অথবা তাহকে দমন করিবার নিমিত্ত সৈনিক বল প্রয়োগ করা মহারাজ বিজয় সঙ্গত বোধ করেন নাই, এ জন্যই ছাডিদিগকে প্রেরণ করা হইয়াছিল। শূকর তাড়াইবার সুদীর্ঘ যষ্ঠ তাহদের যুদ্ধাস্ত্র এবং ডগর রণবাদ্য ছিল । এই নববিধানের অভিযান নিশ্চয়ই তামোদজনক এবং হস্তেদীপক হইয়াছিল। জয়ন্তিয়া নাথ এই ঘটনায় লজ্জিত এবং ভীত হইয়া, হেড়ম্বেশ্বরের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । এই সময় নির্ভয় নারায়ণ হেড়ম্বের অধিপতি ছিলেন । ৭

  • ধন্তমাণিক্য খগু—১৫ পৃষ্ঠা। + রাজমালায় লিখি ত আছে ; —

“এমত সাজিয়া সবে থানাতে যায়ন্ত । শুনিল খাসিয়া রাজা এ সব বৃত্তাস্ত । শীঘ্ৰ গিয়া মিলিলেক হেড়ম্ব রাজাতে । দূত এক পাঠাইল ত্রিপুরেশ্বরেতে ॥ হেড়ম্বের নরপতি নির্ভয় নারায়ণ । পত্র এক লিখিলেক ত্রিপুর সদন ॥” : বিজয়মাণিক্য খণ্ড,–৪৫ পূঃ । রাজমালার এই উক্তিদ্বারা ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্য ও হেড়ম্বেশ্বর নির্ভয় নারায়ণ সমসাময়িক নির্ণীত হইতেছেন। আসামের ইতিহাস প্রণেতা মি: গেইট সাহেবের মতে, শত্রুদমন বা প্রতাপ