পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১১৯ 嚇 রাজমীলা । [ त्रि ौन्न ংজ্ঞাহীন অবস্থায় উহাকে সংহার করিয়াছিল। ক্ষু মহারাজ বিজয়মাণিক্যের আদেশমুসারে মাধব নামক ব্যক্তি, প্রধান সেনাপতি দৈত্য নারায়ণকে অত্যধিক সুরা পান করাইয়া বিহবল অবস্থায় নিহত করিবার নিদর্শনও রাজমালায় পাওয়া যায়। প" সৈনিক বিভাগে সুরার প্রাদুর্ভাব থাকিবার কথা প্রথম লহরে পাওয়া গিয়াছে, দ্বিতীয় লহরেও এতদ্বিষয়ক দৃষ্টাস্তের অভাব নাই। সেনাপতি দৈত্য নারায়ণের কথা উপরে বলা হইয়াছে। ত্রিপুরেশ্বরের পাঠান সৈন্যগণ বিদ্রোহী হইয়া উজীরকে বধ করিয়াছিল ; এবং বিজয়মাণিক্যকে নিহত করিয়া রাজধানী লুণ্ঠন করিবার নিমিত্ত প্রস্তুত হইয়াছিল। কিন্তু সুরামত্ত অবস্থায় তাহদের মধ্যে কলহ হওয়ায়, গুপ্ত অভিসন্ধি প্রকাশ হইয়া পড়িল : মহারাজ বিজয় তাহাদিগকে এই ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত ফল প্রদান করিয়াছিলেন, ইহা পূর্বেই বর্ণিত হইয়াছে। মহারাজ বিজয় চট্টগ্রাম জয় করিয়া যে সকল বস্তু পাইয়াছিলেন, তন্মধ্যে অনেকগুলি সুবর্ণকুষ্মাণ্ড $ ছিল । জনৈক সৈন্য

  • “মন্ত্রণীতে জামাতাকে মদ্য পান দিল ।

মস্তুেতে বিহবল জমাই কুকিয়ে কাটিল ৷” ধন্ত মাণিক্য থ গু | + "সন্ন খাইয়া মদ্য পান করিল বহুত । অাপ মস্ত না থাকব কন্সে সেনাপতি । পিয় বলি মাধবে পিয়ায় মদ্য অতি | মদ্য পানে সেনাপতি পরিলেক থাটে । খড়গ লৈয়া তখনে মাধবে মাথা কাটে ॥” ধন্ত্যমাণিক্য খণ্ড । “মদ্য পনে পাঠানের কলঙ্ক জন্মিল । পাঠানের কুমন্ত্রণ তাতে বাক্ত তৈল ॥" বিজয়মাণিক্য খণ্ড । ঃ সে কালে সোণদ্বারা কুষ্মাণ্ডের আকারবিশিষ্ট ডেল প্রস্তুত করিয়া তাহ রক্ষা করা হইত। প্রাচীন কালে সকলেরই অবস্থা স্বচ্ছল ছিল এবং দেশময় সুবর্ণ-মণি-মাণিক্যের ছড়াছড়ি ছিল। সোণার ভাটা বালকগণের খেলার সামগ্রী ছিল । ইহা দূর দেশের কথা নহে, ত্রিপুর রাজ্যের পাশ্ববর্তী (পরবর্তী কালে রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট ) মেহেরকুলেরই এবম্বিধ সমৃদ্ধি ছিল। এরূপ অবস্থার কালে কুষ্মাণ্ড আকারের স্বর্ণ ভাটার অস্তিত্ব অসম্ভব বলিয়া মনে হয় না। "ময়নামতীর গানে সে কালের অবস্থা পাওয়া ষায় ;– “কাহার বাটিতে কেহ উদার না’চাইত। সোণার ঢেলুয়া লৈয়া বাল্লকে খেলাইত। হাড়াইলে ঢেলুয়া পুনি না চাহিত য়ার। এমতে গোআইল লোকে; হরিষ অপার। মেহরিকুল বেড়ি ছিল মুলিবাশের বেড়া । গৃহস্তের পরিদান সোণার পাছুরা।” ইত্যাদি । ( ভবানী দাস । )