লহর } “মধ্য-মণি । হইয়াছে। যে প্রস্তাব ও আদেশদ্বারা ফুরাই চালনার প্রথা নিবারণ করা হইয়াি তাহা নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে ;– সোণামুড়া ফৌজদারী মাদালন্তেব মোহর । 8১ নং সেহ । মেমো ! শ্ৰীলশ্ৰীযুত যুবরাজ বাহাদুর কুমিল্লা অঞ্চলে পদার্পণ উপলক্ষে সোণামুড়া টাউনের জঙ্গল গরিষ্কার হেতু ত্রিপুরাগণকে সংগ্রহ করার অনুমতি প্রচার হইলে, অত্র সোণামুড়া থানার আছাবদীন কনষ্টেবল বড় নারায়ণ নিবাসী খামরায় চৌধুরীর বাড়ীতে কুলী সংগ্ৰহ হেতু গমনপূর্বক পীড়িত হওয়ায় নিজে যাইতে অক্ষম হইয়া অন্যান্য ত্রিপুরাগণকে সংবাদ দেওয়ার জন্ত উক্ত শুামরায় চৌধুৰী দ্বারা ফুরাই চালাইয়াছিল। শ্ৰীশ্ৰীযুত সাক্ষাতের আদেশ ভিন্ন এই প্রকার ফুরাই সাধারণে চালাইবার প্রথা নাই । অত্ৰত্য বিনন্দিয়া গারদের বরখাস্তী বিনন্দিয়া মুক্তচরণ ত্রিপুরা তাহার নিজ কার্য্যে অত্র এলাকাস্থ রাঙ্গামুড় বৈদ্যনাথ ত্রিপুরার বাড়ীতে ঘাইয়া উপরোক্ত ফুরাই প্রাপ্ত হইলে, তাহ এখানে উপস্থিত করার পর উক্ত খামরায় চৌধুরী, বৈদ্যনাথ ত্রিপুরা এবং আছাৰদীন কনষ্টেবলকে তলব দিয়া জবানবন্দী লইলে দেখা গেল যে, আছাবদীন কনষ্টেবলের অনুমতিমতে উক্ত তামরায় চৌধুরী তাহার নিজ বাড়ীস্থিত ধনীরাম ত্রিপুরা নামক জনৈক ব্যক্তিদ্বারা ঐ ফুরাই প্রস্তুত করাইয়া বৈদ্যনাথ ত্রিপুরার বাড়ীতে প্রেরণ করিয়াছিল। উপরোক্ত হেতুতে উক্ত আছাৰদীন কন্ষ্টেবল ও খামরায় চৌধুরীকে রীতিমত ফৌজদার আদালতে সোপর্দ করিয়া জওয়াব গ্রহণাস্তে বিবাদীর সাফাই সাক্ষী তলবে মোকদ্দমা শুনানির দিন আগামী ১লা আশ্বিন ধার্য হইয়াছে। বর্তমান ফুরাই চালনাতে সম্প্রতি যদিচ কোন অশান্তি বা অনিষ্টের কারণ না ঘটিা থাকুক, বাস্তবিক ফুরাই চালনা যে কতদূর ভয়ানক ব্যাপার ও তন্ধেতু যে কত অনর্থ ও বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে, তাহ বলা বাহুল্য। কিন্তু এতৎসম্বন্ধে আইনতঃ কোন বিধান দেখা যাইতেছে না ; এবং ফুরাই চালনা নিষেধ বলিয়া জানা আছে, কিন্তু তৎসম্বন্ধে কোন নিষেধ আজ্ঞা লিপিবদ্ধ থাকাও দৃষ্ট হয় না। এমতাবস্থায় উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে কিরূপ প্রতিবিধান করা কর্তব্য, সত্বর তদ্বিবরের বিহিত মুমতি পাওয়া এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি নিয়ম বিধিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সেমতে— হুকুম হুইল 63,س উপরোক্ত বিষয়ের কিরূপ প্রতিবিধান করা যাইবেক, সত্বর বিহিতাকুমতি পাওয়ার এব: ভবিষ্যতের জন্ত একটা নিয়ম বিধিবদ্ধ করার প্রার্থনায় অত্র মেমোর এক খণ্ড প্রতিলিপি মোং
