পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } মধ্য-মণি । > ゲ為 সে কালের ভূস্বামীগণ এত ধৰ্ম্মভীরু ছিলেন যে, পরদত্ত ভূমি হরণ করা শাস্ত্র gapna, বিগর্হিত হইলেও, দাতাগণ শাস্ত্রের বাক্য অধিকতর দৃঢ় করিবার ধৰ্ম্মভীরতার নিদর্শন। অভিপ্রায়ে ভাবী অধীশ্বরদিগকে প্রদত্ত ভূমির উপর হস্তক্ষেপ না করিবার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাইতে বিস্মৃত হইতেন না। স্বয়ং রামচন্দ্রও র্তাহার তাম্র-শাসনে উৎকীর্ণ করিয়াছিলেন ;—

  • অস্মিন বংশে ক্ষিতে কোহপি রাজা যদি ভবিষ্ণুতি ।

তস্তাহং করলগ্নোহস্মি মদত্তং যদি পাল্যতে ॥” এই আদর্শও পরবত্তী দাতাগণের মধ্যে অনেকেই অবলম্বন করিয়াছিলেন। .amar, রামচন্দ্র, দানরক্ষাকারী ভবিন্য পুরুষের করতলগত থাকিবার ऊ (श्ध-* [मनि । অঙ্গীকার করিয়াছেন, পরবর্তীকালে এই অঙ্গীকার আরও लूक्नु করিবার প্রমাণ পাওয়া যায়। ত্রিপুরাধীশ্বর মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য কুমিল্লা নগরীর বক্ষঃস্থিত সুবিশাল ধৰ্ম্মসাগর প্রতিষ্ঠাকালে ব্রাহ্মণদিগকে তাম্র-শাসন দ্বারা যে ভূমি দান করিয়াছিলেন, সেই দানপত্রে লিখিত আছে ;— “মম বংশ পরিক্ষীণে ৰং কশ্চিভূপতি ভবেৎ। তস্ত দাসস্ত দাসোহং ব্রহ্মবৃত্তিং ন লঙ্ঘয়েৎ ৷” হলায়ুধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়’ নামক পুথিতে রাজা লক্ষণ সেনের s, au, সম্পাদিত যে দানপত্রের লিপি সংযোজিত হইয়াছে, তাহাতে তাম্র-শাসন । পাওয়া যায় ;一 “ময়ি মুতে সতি কশ্চিন্দ্রাজ ষে ভবেৎ। তস্ত দাসস্ত দাসোহং যে যে কীৰ্ত্তিং ন লঙ্ঘয়েৎ ॥” বিক্রমপুরের সামন্ত রাজা শ্যামল বৰ্ম্ম ৯৯৪ শকে সেন রাজগণের করদরূপে var an উক্ত প্রদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন। তিনি আদিশূরের তাম্রশাসন । স্যায় পঞ্চগোত্রীয় পাঁচ জন বৈদিক ব্রাহ্মণ আনয়ন করিয়া এক যজ্ঞ সম্পাদন করেন। সমাগত ব্রাহ্মণপঞ্চকের মধ্যে শৌনকগোত্রীয় যশোধর শৰ্ম্মাকে তাম্র-শাসনদ্বারা সামন্তসার গ্রাম দান করিয়াছিলেন। এই দানপত্রে উৎকীর্ণ হইয়াছে ;– “ময় দত্তামিমাং ভূমিং যঃ করোতি হি পালনং। তস্ত দাসস্ত দাসোহহং ভবেয়ং জন্মজন্মনি ॥” এরূপ দৃষ্টান্তের অভাব নাই। তাম্রশাসনদ্বারা ভূমিদানের প্রথা রামচন্দ্রের তাম-শাসন প্রদানের পরবর্তী স্বদীর্ঘকাল পৰ্য্যন্ত প্রবর্তিত ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণের এখা আধুনিক নহে। সন্ধানে ভারতের নানাস্থান হইতে প্রতিনিয়ত তাম্র-ফলক আবিষ্কৃত হইতেছে। একমাত্র ত্রিপুর রাজ্যে অনুসন্ধান করিলে শত শত তাম্র-শাসন পাওয়া