Ꮌ ᎽᎭ রাঞ্জমালা । [ श्लेिडीौन्न যোদ্ধবৃন্দের অধিনায়কদিগকেও সরদার উপাধি দেওয়া হইত। সে কালে ত্রিপুরার সৈনিক বিভাগে লাঠিয়াল সৈন্য থাকিবীর প্রমাণ রাজমালায় পাওয়া যায়। প্রয়োজন হইলে ইহারা মৃত্তিকা খননের কার্য্যও করিত। ত্রিপুর রাজ্যে যে সুবৃহৎ দীর্ঘিকার প্রাচুর্য্য লক্ষিত হয়, তাহার অধিকাংশ সৈনিক বিভাগের কৰ্ম্মচারী দ্বারা খনিত হইয়াছে। লাঠিয়াল শ্রেণীর সৈন্যগণ যুদ্ধযাত্রাকালে অন্যান্য তাস্ত্রের সহিত কোদাল সঙ্গে লইত, ত্রিপুর বাহিনীর জয়ন্তিয়া অভিযান কালে দেখা গিয়াছে,— “দ্বাদশ হাজার হাড়ি হাতে কোদাল লৈয়া । হাড়িয়ে ডগর বাদ্য চলে বাজাইয়৷ ” বিজয়মাণিক্য থগু—৪৪ পৃ: । হাজারী। ইহা সরদারের উপরিস্থ কৰ্ম্মচারিগণের পদবী । এক হাজার পদাতিকের অধিনায়কগণ হাজারী উপাধি লাভ করিতেন । রাজমালায় "স্লাজরা’ উপাধির উল্লেখও বিরল নহে ৷ ‘হাজারী’ এবং ‘হাজরা’ অভিন্ন উপাধি বলিয়াই মনে হয় । হাজারী উপাধি । বড় য়া । ইহা হাজারীর উপরিস্থ পদ। ‘বড় শব্দ হইতে বড়ুয়া পদবী স্থষ্ট হইয়াছিল । এই পদপী তাছাপি কোন কোন পাবর্বত্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান রহিয়াছে। এখন আর সৈনিক বিভাগের সহিত এই পদবীর কোনরূপ সম্বন্ধ নাই । ঘড়য়। উপাধি । নারায়ণ । মহারাজ ধন্ত্যমাণিক্য রণদক্ষ প্রধান সেনাপতি দিগকে “নারায়ণ’ উপাধি প্রদানের ব্যবস্থা করেন। রাজমালা আলোচনায় জানা যায়, রসাঙ্গ (আরাকান ) বিজয়ী সৈন্তাধ্যক্ষ রসাঙ্গমৰ্দ্দন’ ও ‘নারায়ণ’ উপাধিতে ভূষিত হইয়াছিলেন। এই সেনানীর নাম জানা যাইতেছে না। ইহার পূর্বে অন্য কোন সেনাপতির নারায়ণ উপাধি লাভের প্রমাণ নাই। পূর্বোক্ত ব্যক্তির “নারায়ণ’ উপাধির নিদর্শন রাজমালায় পাওয়া যাইতেছে ;— সারায়ণ উপাধি । "চাটিগ্রাম হতে ভঙ্গ দিল গৌর সেনা । রসাঙ্গমৰ্দ্দন নারায়ণকে বসাইল থান ৷” f ধন্যমাণিক্য খণ্ড—২৪ পৃঃ । দেবমাণিক্যের সময় সেনাপতির কি উপাধি ছিল, রাজমালায় তদ্বিষয়ের উল্লেখ না থাকিলেও উহার পরবর্তী ইন্দ্রমাণিক্যের শাসনকালে ‘নারায়ণ’ উপাধি পাওয়া
