পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शश्द्र। } মধ্য-মণি t १e > সহস্র খাড়াইত থাকিবীর প্রমাণ পাওয়া যায়। রাজমালায় খাড়াইতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হইয়াছে, তাহা এই ;– “খড়গ চৰ্ম্ম জাঠি হাতে দেখি ভয়ানক । সাতবার ধন্যসাগর ফিরিতে ষে পারে । সেই জনা তার নাম খাড়াতাইয়। ধরে ॥ দিব। রাত্র থাকে রাজদ্বারেতে প্রহরী । বড় বড় অঙ্গ তারার বিক্রমে কেশরী ॥” বিজয়মাণিক্য খণ্ড–৫৮ পৃঃ । ধন্যসাগর দৈর্ঘ্যে ১০০০ গজ ও প্রস্থে ২৭০ গজ। এই সাগর সাত বার প্রদক্ষিণ করা যে বলশালী ব্যক্তির কার্য্য, তাহ সহজবোধ্য। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হইলে কেহ খাড়াইত পদলাভের অধিকারী হইত না । বিশাল বপু এবং বিক্রমশালী ব্যক্তিগণ খাড়াইত বিভাগে স্থান পাইত, রাজমালার বর্ণনা দ্বারা ইহাই বুঝা যাইতেছে । খড়গ চৰ্ম্মধারী যোদ্ধৃদল প্রাচীনকাল হইতেই খড়গধারী বা খাড়াইত নামে sessmন অভিহিত হইয়া আসিতেছিল। ইহা মহারাজ বিজয়মাণিক্যের প্রাচীনত্ব নব উস্তাবিত নহে । পুরাণ গ্রন্থেও এই সম্প্রদায়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যথা ;— "স্বরূপস্তরুণঃ প্রাংগুদৃঢ় ভক্তি: কুলোচিত: | শুরঃ ক্লেশসহশ্চৈব খড়গধারী প্রকীৰ্ত্তিতঃ।” মৎস্তপুরাণ–২১৫ অঃ, ১৮ শ্লোক । মৰ্ম্ম –সুন্দর দর্শন, তরুণ বয়স্ক, দীর্ঘকায়, রাজার প্রতি দৃঢ় অনুরক্ত, সৎকুল সস্তৃত, শূর এবং কষ্ট সহিষ্ণু ব্যক্তিকে খড়গধারী পদে নিযুক্ত করিতে হয়। এতদ্বারা বুঝা যাইতেছে, খড়গধারী বা খাড়াইত পৌরাণিক যুগের প্রবর্তিত সম্প্রদায়। পরবর্তীকালে অনেক স্থানেই সৈনিক বিভাগে এই শ্রেণীর কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত ছিল। বেহারের ইতিবৃত্ত ‘রাজাবলী পুথিতে পাওয়া যায়, তথাকার সৈনিকগণের মধ্যে ‘খাড়াধরা’ নামক এক শ্রেণীর যোদ্ধা ছিল ; ইহা খড়গধারীর নামান্তর মাত্র । ময়নামতির গানে পাওয়া যায়, গোপীর্চাদ মায়ের নিকট বলিতেছেন ;— “আর বিভা করাইলা খাণ্ডাএ জিনিয়া । আর বিভা করাইল উরুয়া রাজার মাইয়া ॥” ভবানীদাসের ময়নামতীর গান । ‘খাণ্ডা’ শব্দের অর্থ খাড়া”। উড়িষ্যা প্রদেশে এক শ্রেণীর যোদ্ধবর্গের খণ্ডাইত’ উপাধি ছিল। ‘খাণ্ডএ জিনিয়া’ বাক্যদ্বারা বুঝা যায়, রাজা মাণিকচন্দ্রের খণ্ডাইত’ সৈন্য ছিল। খণ্ডাইত ও খাড়াইত অভিন্ন বাক্য। উড়িষ্যাবাসী কোন রাজাকে লক্ষ্য করিয়া উদ্ধৃত কবিতায় উরুয়া রাজা’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়া থাকিবে । শ্রদ্ধাস্পদ